বাংলা ভাষায় কথা বলায় বাংলাদেশি সন্দেহে বিজেপি শাসিত রাজ্য উড়িষ্যায় পুলিশ আটক করেছে ১৯জন পরিযায়ী শ্রমিককে।মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের মশালদহ অঞ্চলের তালগাছি এলাকার ১৯ জন পরিযায়ী শ্রমিককে সেখানকার পুলিস আটক করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। কটক জেলার মাহাঙ্গা থানার পুলিশ বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শ্রমিকদের পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে হেনস্থা ও নির্যাতন করার অভিযোগ সেখানকার পুলিসের বিরুদ্ধে। এলাকায় খবর পৌঁছাতেই পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে পরিবার পরিজন।

শ্রমিকদের দাবি,ওড়িশায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে।কাজের সন্ধানে সেখানে গিয়ে এভাবে নির্যাতন এবং হেনস্থার শিকার হওয়ায় আতঙ্কে বাড়ি ফিরছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের দু শতাধিকের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক উড়িষ্যায় রয়েছে।তালগাছি এলাকার সবথেকে বেশি শ্রমিক রয়েছে।সেখানে ঘর ভাড়া নিয়ে
কেউ দশ বছর ধরে,কেউ পনেরো বছর ধরে থাকছে।বাইকে করে কাপড় ও প্লাস্টিকের জিনিস নিয়ে গ্রামে গ্রামে ফেরি করেন।ঈদের পর তালগাছি এলাকার প্রায় পঞ্চাশজন পরিযায়ী শ্রমিক উড়িষ্যায় যায়। মারাঙ্গা থানা এলাকায় হরিশ্চন্দ্রপু ২ ব্লকের দু শতাধিকের বেশি শ্রমিক রয়েছে।রাতে বাড়িতে পুলিশ এসে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড দেখতে চান।পরেরদিন সকালে ১৯ জন শ্রমিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। থানায় হেনস্থা করছে।বাকি শ্রমিকরা আতঙ্কে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।ব্লক প্রশাসন ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিজিয়া সুলতানা।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ পরিযায়ী শ্রমিকদের পারিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শ্রমিকদের সমস্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করে উড়িশা প্রশাসনের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন।