ভিনরাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকেরা তো পুলিশের হেনস্থার শিকার হচ্ছিলই।এবার ছাড় পেলনা দুধের শিশুও।ভয়ংকর অভিযোগ উঠলো এবার বিজেপি শাসিত দিল্লী পুলিশের বিরুদ্ধে।বাংলাদেশী সন্দেহে চাঁচলের পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারকে গৃহবধূকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় দিল্লী পুলিশ। সে সময় তার কোলে দেড় বছরের পুত্র সন্তান ছিল।পুলিশ সেই শিশুটিকে মায়ের কোল থেকে ছুড়ে ফেলে বলে অভিযোগ।তারপরেই শিশুর কানে চোট পান। কানে আচড়ের দাগ।কপালেও আঘাত হয় বলে অভিযোগ।স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করাতে গেলে সেখানে বাংলাদেশী সন্দেহে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।সেখানে শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা করানো পর ছেড়ে দেওয়া হয়। আরও জানা গিয়েছে,দিল্লী পুলিশ যখন আসে সে সময় মুক্তার খান কাজে ছিলেন।দিল্লীর গীতা কলোনিতে ভাড়া বাড়িতে ছিলেন বধূ সাজেনুর পারভিন।

সেসময় পুলিশ ওই মহিলাকে তূলে নিয়ে যায়।সঠিক নথি দেখার পর ও রাজ্য সরকারের অফিসিয়াল বার্তা পেয়ে সেদিন সন্ধ্যায় ওই বধূকে ছেড়ে দেওয়া হয়।এই ঘটনা নিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক্স হেন্ডেল পোষ্ট করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মূক্তার স্ত্রী ও দুই সন্তান সহ বাবা মাকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে থাকেন।এমতাবস্থায় তারা আতঙ্কে রয়েছেন।গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন ওই নির্যাতিত শিশুর একমাত্র পিসি।তিনি বলেন,মূখ্যমন্ত্রী পোষ্ট করার পর দিল্লী পুলিশ দাদা ও বৌদিকে থানায় আটকে রেখেছে।ওরা আতঙ্কে রয়েছে আমরা আতঙ্কে।রাজ্য সরকার তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনুক।মালদার ফিরোজাবাদ গ্রামের বহু শ্রমিক আতঙ্কে জিনিসপত্র ছেরে পালিয়ে আসছেন।
রাজ্যসভার সাংসদ মৌসুম বেনজির নূর বলেন, বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্য থেকে এ ধরনের খবর আসছে। বাংলাদেশী সন্দেহে আটক করে অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷
রাজনীতি করার জন্য তৃণমূল এ ধরনের কথা বলছে।যদি সত্যিই দিল্লী পুলিশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকে নির্দিষ্ট জায়গা আছে সেখানে অভিযোগ জানানোর সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাল্টা দাবি মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর।