খেলতে গিয়ে বাঁশ ঢুকে এফোড় ওফোড় শরীর। কিডনি, লিভার ছুঁয়ে সেই বাঁশ পৌঁছে গিয়ে ছিলো শরীরের সবচাইতে বড় শিরা গুলোর মধ্যে অন্যতম ইনফেরিওর ভেনাক্যাভায়।ঝুকিপূর্ণ অপারেশন। টানা প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় কিশোরের প্রান বাঁচিয়ে দিলেন জলপাইগুড়ি র মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা।মরনাপন্ন ছেলে প্রান ফিরে পাওয়ায় খুশি পরিবার।
জলপাইগুড়ি র ময়নাগুড়ি র পেটকাটির বাসিন্দা অমিত সাহা।বাঁশ দিয়ে উইকেট বানিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছিল অমিত। খেলতে খেলতেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। বল ধরতে গিয়ে উইকেটের উপর পড়ে তিন ফুট বাঁশ ঢুকে যায় পেটে।যার প্রায় সাড়ে তিন ইঞ্চি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করে শরীরের একাধিক অংশ।সেই অবস্থায় ময়নাগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবার। এদিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে হিমোগ্লোবিন নেমে গেছে।অন্যদিকে পেসার কম, পালস হাই। তার উপর ও নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত।কিশোর কে বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়েন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা।তড়িঘড়ি এক ইউনিট রক্ত জোগাড় করে অপারেশন শুরু করে দেন তারা।প্রায় দু’ঘন্টা ধরে চলে অপারেশন।প্রান ফিরে পায় কিশোর।
