রবিবার টানা বৃষ্টি এবং ভুটানের জলে মানসাই, ডুডুয়া,জলঢাকা, তোর্সা নদী প্লাবিত হয়ে যায় প্রবল জলের তোরে বন্য জন্তুরা পর্যন্ত ভেসে আসে জঙ্গল থেকে। সেই মত মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের ঘোকসাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের তোর্সা নদী তীরবর্তী বড় শিমুল গুরি তেঁতুলের ছড়া গ্রামের কৃষক ধীরেন বর্মন বন্য শুকরের হানায় প্রাণ হারান। ঘটনায় শোকের ছায়া তেঁতুলের ছড়া গ্রামে। জানা গিয়েছে, তেঁতুলের ছড়া গ্রামের কৃষক ধীরেন বর্মন সকাল ১০ টা নাগাদ গবাদি পশুর জন্য বাড়ির অনতি দূরে তোর্সা নদী তীরে ঘাস কাটতে যান। অকস্মাৎ পেছন থেকে একটি বন্য শুকুর ধীরেন বাবুকে আঘাত করে। এরপর শুকরটি শরীরের নানা জায়গায় কামর বসায়। ঘটনায় মাঠেই লুটিয়ে পরে ধীরেন বর্মন। ফাঁকা মাঠ আসে পাশে তেমন কেউ ছিল না ।

পরে স্থানীয় দুধেশ্বর বর্মন দেখতে পেয়ে ছুটে গিয়ে উদ্ধার করে এবং চিৎকার চেচা মেচিতে গ্রামের অনেকে ছুটে আসে। এরপর ঘোকসাডাঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে ধীরেন বর্মন (৪৮) কে মৃত বলে ঘোষণা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্তে ঘোকসাডাঙ্গা পুলিশ। ঘটনায় ধীরেন বর্মণের পরিবার সহ গোটা গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। খবর নিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন এসডিপিও সমরেন হালদার, সি আই অজয় কুমার মণ্ডল, ওসি কাজল দাস, মাথাভাঙ্গা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মন, বিশিষ্ট সমাজ সেবী কমলেশ অধিকারী সহ অন্যান্যরা। তবে সেই শুকর টিকে এখনো খুঁজে পাওয়া না যাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে গোটা গ্রাম বাসি।