সংকোশ নদীর হঠাৎ জলশ্রুতি তছনছ করে দিয়েছিল অসম সীমানা ঘেঁষা পূর্ব ফলিমারিকে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, এমনকি বিঘার পর বিঘে চাষের জমি—সবই ছিল জলে ডুবে। ফসল নষ্ট, গৃহস্থের ক্ষতি—অনিশ্চয়তায় কেটেছে গত কয়েক সপ্তাহ।
তবে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে প্রশাসন।
বক্সিরহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হয় স্বাস্থ্য শিবির। বন্যা-পরবর্তী অসুস্থতা ও সংক্রমণ রোধে চিকিৎসা সেবা পান শতাধিক গ্রামবাসী। পাশাপাশি কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের শস্য বীমা আবেদন নেওয়া হয়।

এদিন বন্যা দুর্গতদের জন্য খিচুড়ি বিলি ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয় বক্সিরহাট থানার পক্ষ থেকে।
পরিদর্শনে যান বক্সিরহাট থানার ওসি নকুল রায়, জোড়াই ফাঁড়ির ইনচার্জ নন্দদুলাল মাহাতো এবং জেলা পরিষদের সদস্য নিরঞ্জন সরকার।
প্রশাসনের এই উদ্যোগে আশার আলো দেখছেন গ্রামবাসীরা।
ধীরে ধীরে জলের দাগ মুছে যাচ্ছে—পূর্ব ফলিমারির মানুষও শুরু করেছেন নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।