ভয়াবহ বন্যায় উত্তরবঙ্গের একাধিক চা-বাগান ও শ্রমিক এলাকা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবারের বন্যার পর থেকে বহু চা-বাগান এখনো বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার নর্থ বেঙ্গল ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সংগঠনের সম্পাদক সুমিত ঘোষ জানান, এই বন্যায় উত্তরবঙ্গের চা-বাগান এলাকায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ডুয়ার্স অঞ্চলে ক্ষতির পরিমাণ ১৩ থেকে ১৪ কোটি টাকা বলে অনুমান।

তিনি আরও জানান, ৪০ থেকে ৪৫টি চা-বাগান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু বাগানে উৎপাদন ক্ষেত্র ছাড়াও ফ্যাক্টরি ও যন্ত্রাংশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও, শ্রমিক কোয়ার্টার, কারখানা, মূল চা গাছ, ছায়া গাছ ও সম্পূর্ণ প্লান্টেশন এলাকাও তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা, নদীর গতিপথ পরিবর্তন এবং পাহাড়ি নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে চা-বাগান সংলগ্ন জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে শুধু উৎপাদনই নয়, শ্রমিকদের জীবনযাত্রা ও আবাসন ব্যবস্থাও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।সুমিত ঘোষের মতে, এই বিপর্যয় থেকে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে প্রায় পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার যৌথভাবে উদ্যোগ নিলে, সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় চা-বাগান শিল্পকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।