মেডিকেলে ফের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন। এবার ওয়ার্ডে ঢুকে এক রোগির গায়ে পেট্রোল ছিটিয়ে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে। ভয়ে আতঙ্কে ছুট ওই রোগির, তার পিছু নেই দুস্কৃতিরাও। বৃহস্পতিবার রাতে এমনই ঘটনায় কার্যত হুলুস্থুল রায়গঞ্জ মেডিকেলের মেল সার্জিকাল বিভাগে। আতঙ্কিত অন্যান্য রোগিদের পাশাপাশি নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ঘটনায় দুইজনকে আটক করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরজিৎ দাস নামে সুভাষগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা এক যুবককে গুরুতর জখম অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। তাকে লক্ষ্য করে দুই অভিযুক্ত পেট্রোল নিক্ষেপ করে আর আগুন ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তার পিছু নেয় বলে দাবী। কোনো রকমে লিফট দিয়ে সে পালিয়ে বাঁচে বলে জানা গেছে।

সুরজিৎ দাসের মামা ছোটন দাস বলেন, প্রকাশ হালদার নামে স্থানীয় একজনের কাছে তার ভাগ্না টাকা পেতো। সেই পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে সুভাষগঞ্জ এলাকায় তাদের বচসা শুরু হয়। হঠাৎ তৃতীয় ব্যক্তি একজন সুরজিৎয়ের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সে সময় মারধর করে তার মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এরপর এরপর সুরজিৎ দাসকে রক্তাক্ত যখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অভিযুক্তরা হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পেট্রোল নিয়ে এসে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পুরুষ সার্জিক্যাল ওয়ার্ড থেকে ভাগ্না পালিয়ে কোনো মতে প্রানে বাঁচে। ঘটনায় নার্স ও রোগীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুলুস্থুল কান্ড বেধে যায় সার্জিক্যাল ওয়ার্ড চত্বরে। এরপর পুলিশ এসে অভিযুক্তদের আটক করে। হাসপাতালের মধ্যে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্বেও কিভাবে ওই দুই অভিযুক্ত পেট্রোল নিয়ে প্রবেশ করলো তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

দায়িত্বপ্রাপ্ত এম এস ভি পি ভাস্কর দেবনাথ বলেন, রাতে শারীরিক আঘাত নিয়ে ভর্ত্তি হন। এদিন সিটি স্ক্যান করতে নিয়ে যেতে বলা হয়। রোগীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করে দুজন৷ তারপর তাদের মধ্যে গন্ডোগোল বাধে এবং পেট্রোল ছড়ানোর মতো ঘটনা ঘটে৷

গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয় এবং পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করে।

