সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ এবং সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিতে জলে ডুবে গেছে ফেনীসহ উপকূলীয় জেলাগুলো। ফেনীসহ উপকূলীয় জেলাগুলো বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।গত রোববার দুপুর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি থামার যেন কোনও নামই নেই। অফিস ছুটির পর যানবাহন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া, জলাবদ্ধতা সেই সঙ্গে যানজটের মধ্যে পড়েছে নগরবাসী। ঢাকার অলিগলিতে জল জমে গেছে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরের জেলা ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা ও খুলনায় ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে সড়ক, দোকানপাট ও বহু গ্রাম।

টানা বৃষ্টিতে জলের নিচে তলিয়ে গেছে ফেনী শহর। কাঁচা ও আধা-পাকা সড়কগুলো জলে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী ও যানবাহনের চালকরা। কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও আবার কোমর পর্যন্ত জল জমে জনজীবনে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ স্থবিরতা। হাজার হাজার মনুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে খাদ্য ও বিশুদ্ধ জলের সংকট দেখা দিয়েছে। দুর্গতদের অভিযোগ, বাঁধ ভাঙার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা মেলেনি। টানা বর্ষণ ও ভারতীয় উজানের পানিতে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফেনী জেলা প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফুলগাজী উপজেলায় ৯৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে যার মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩২টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৭টি।এছাড়াও, পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে দুর্গত পরিবারগুলো আসতে শুরু করেছে।ফুলগাজী উপজেলায় ২টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৩৬টি পরিবারের, মোট ৮৫ জন। পরশুরাম উপজেলায় ২টি আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে ৫টি পরিবার, মোট ২০ জন। ফেনী সদর উপজেলায় ১টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৭টি পরিবার, মোট ২৮ জন। অন্যান্য জেলাতেও আশ্রয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে।