প্রেমের সম্পর্ক, শারীরিক সম্পর্ক, শেষে প্রতারণার অভিযোগ—দৌলতপুরের যুবকের বিরুদ্ধে আইনি পথে যুবতী
একাধিকবার সহবাস এবং প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের দৌলতপুর এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী কুশমন্ডি থানার পানিশালা এলাকার বাসিন্দা যুবতী বর্ণালী রায়।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে ফেসবুকে আলাপ হয় বর্ণালী রায় এবং অভিযুক্ত যুবক সুমিত গুপ্তার। ধীরে ধীরে আলাপ গড়ায় প্রেমে। দীর্ঘদিন ধরে চলে মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, ভিডিও কল এবং পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি। যুবক সুমিত গুপ্তা একাধিকবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় বলে অভিযোগ।
বর্ণালী রায়ের অভিযোগ, মালদা ও সুমিতের বাড়িতে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন তারা। কিন্তু সময় পেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে সুমিত বিয়ে করতে অস্বীকার করে। যুবতী জানান, সুমিতের পরিবারকে বিষয়টি জানালেও তাঁকে অপমান এবং অকথ্য গালিগালাজ শুনতে হয়।

চলতি বছরের জুন মাসে কুশমন্ডি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বর্ণালী রায়। কিন্তু অভিযোগ জানানোর পর বহুদিন কেটে গেলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
বর্ণালী রায় জানান:সুমিত আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহুবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছে। এখন সে অস্বীকার করছে। উপরন্তু, হুমকি দিচ্ছে আমার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল করে দেবে বলে। ফোনে প্রতিনিয়ত কুরুচিকর মন্তব্য করছে। আমি ন্যায় চাই, ও যেন আমাকে বিয়ে করে।”
অভিযুক্ত সুমিত গুপ্তার আইনজীবী অভিক সিনহা জানান:ওই মেয়েটি আগে বিবাহিত ছিলেন। পরবর্তীতে বিচ্ছেদ হয়। তারপর ফেসবুকে আমার মক্কেলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বিয়ের কথাবার্তার সময়েই জানা যায় মেয়েটির আগের বিয়ের বিষয়টি। আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।”
এই ঘটনায় স্থানীয় মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এখন দেখার, আদালত ও প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয় এই ঘটনায়।