একটি বিমা সংস্থার এজেন্টের পরিচয় দিয়ে গ্রাহকদের কাছে টাকা তুলে জমা না দিয়ে প্রায় ৭০লক্ষ টাকা হাতিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ এক মহিলা সহ তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চিলাখানা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের জায়গির চিলাখানা টাকোয়ামারি এলাকায়। টাকা ফিরিয়ে পাবার দাবিতে বুধবার ঐ বীমা কোম্পানির এজেন্টর বাড়ির সামনে বিক্ষোভে সামিল হন গ্রাহক রা। ঘটনাস্থলে চিলাখানা এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বুদ্ধদেব দাস পৌঁছে গ্রাহকদের সমস্ত রকম সহযোগিতার আস্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে নেন তারা।

জানা গিয়েছে চিলাখানা এক গ্রাম পঞ্চায়েতের জায়গীর চিলাখানা টাকোয়া মারি এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ প্রামানিক। তার স্ত্রী শুক্লা প্রামাণিক নিজেকে একটি বীমা কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দেয় । সেইমতো গ্রামের সহজ-সরল সাদাসিধা মহিলাদের মগজ ধোলাই করে তাদের কাছ থেকে পলিসি করিয়ে নেয়, পলিসি করিয়ে এবং প্রথম প্রথম রশিদ হাতে দিয়ে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন ওই অভিযুক্ত। স্ত্রী শুক্লা প্রামাণিকের কাজে সহায়তা করে তার স্বামী অভিজিৎ প্রামানিক। গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের সু কৌশলে এম আই সি পলিসি, ফিক্সড ডিপোজিট করার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ঐ এলাকা থেকে বলে অভিযোগ। রশিদ চাইলে বিভিন্ন টাল বাহানা দিতো ঐ অভিযুক্ত রা।অবশেষে প্রায় মাস দেড়েক আগে গ্রাহকরা বাড়িতে এসে দেখতে পান বাড়ির মূল গেটে তালা মারা রয়েছে। ফোন করলে মোবাইল বন্ধ। মহিলাদের অভিযোগ একজনের কাছ থেকে পলিশি করলেও অপরজন জানত না।অনেকেই স্বরোজগড়ি দলের থেকে টাকা নিয়েছেন ফিক্সড করবেন বলে, আবার কেউ জমি বন্ধক রেখে, গহনা বন্ধক রেখে এবং মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো টাকা রেখেছেন ওই অভিযুক্তদের কাছে ফিক্সড করবেন। ওই এলাকা থেকে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ জন মহিলা পুরুষের কাছ থেকে বীমা কোম্পানির পলিসি করানোর নাম করে টাকা তুলেছেন অভিযুক্তরা। শুধু ওই এলাকাতেই প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা তুলেছেন অভিযুক্তরা। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আরও গ্রাহকের সংখ্যা বাড়তেছে। বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য সালিসি বসলেও অভিযুক্তদের আর পাত্তা নেই। শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তুফানগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা। থানা সূত্রে খবর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।