টানা বর্ষণের কারণে সিকিমের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক ভূমিধস ও রাস্তা বন্ধের ঘটনা ঘটেছে। সিকিম পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্যাংটক জেলায় সব রাস্তা এখন সচল থাকলেও অন্যান্য জেলাগুলির পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। পাকিয়ং জেলায় রিনক থেকে পেদং রোড, যা পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে চলে, বন্ধ রয়েছে। ২০ মাইল এলাকায়ও ভূমিধসের কারণে চলাচল ব্যাহত হয়েছে। জেলার অন্য রাস্তা তুলনামূলকভাবে সচল থাকলেও বর্ষণজনিত সমস্যার কারণে যাত্রী ও পরিবহন এখন সীমিত গতিতে চলছে। ম্যাঙ্গান জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ম্যাঙ্গান থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত ফিদং রোড বর্তমানে শুধুমাত্র হালকা যানবাহনের জন্য খোলা আছে। তুং-নগা নতুন রাস্তায় একাধিক স্থানে ধস হয়েছে, ফিদং–সাংকালাং এবং সাংকালাং–শিপগেয়ার রোডেও চলাচল ব্যাহত। লাচেন ও লাচুংমুখী রাস্তায় একাধিক বাধা তৈরি হয়েছে। থাঙ্গু ও গুরুডোংমার যাওয়ার পথও এখনও বন্ধ। তুষারপাতের কারণে যুমথাং থেকে ডঙ্কেয়া লা পর্যন্ত রাস্তা অনুপযোগী হয়েছে।

নামচি জেলায় নামচি–রাংপো রোড নামথাংয়ের কাছে বন্ধ রয়েছে। তেমি রোড স্যাম্পুট এলাকায় বন্ধ, জোরেথাং–নন্দুগাঁও রাস্তায় ধস, এবং রাভাংলা থেকে ইয়াংইয়াং যাওয়ার পথও বন্ধ। বের্মিওক–ফিয়ংলা রোড বেতঘারে রাস্তায় বাধা সৃষ্টি করেছে। জেলার অন্যান্য রাস্তা এখন সচল।গিয়ালশিং জেলায় উত্তরের চেওয়াভানজাং রোড সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, ভালাউলয়ের কাছে রাস্তাটি কাটা পড়েছে। তবে জেলা সদর এবং অন্যান্য অংশে রাস্তাগুলি সচল। সোরেং জেলায় রেস্তি–জোরেথাং রোড সচল থাকলেও সোমবারিয়া থেকে সোরেং রোড রুমবুকে বন্ধ। গাড়ি চলাচল বর্তমানে সাল্টিগোলা পথ ঘুরে হচ্ছে। সোবারিয়া–নয়াবাজার রোড টাইটানিক পার্ক এবং দরামদিন এলাকায় বন্ধ রয়েছে। জেলার অন্যান্য রাস্তা সচল ও যান চলাচলের জন্য উপযোগী। এনএইচ-১০ এবং শিলিগুড়ি সংযোগের পথও ঝুঁকিপূর্ণ। ২০ মাইল এলাকায় রাস্তা বন্ধ, এবং পশ্চিমবঙ্গের অংশেও একাধিক স্থানে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়েছে। তবে বিকল্প পথ ব্যবহার করে যানবাহন চলাচল করছে। সিকিম পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন স্থানে দ্রুত রাস্তাঘাট মেরামতের কাজ চলছে। নাগরিকদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে সতর্ক থাকার এবং নিরাপদে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।