অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর ইতিহাসে প্রথমবার উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরে অনুষ্ঠিত হল সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণকারী কমিটির বৈঠক — কেন্দ্রীয় কার্যসমিতি (CWC)। আজ ২ আগস্ট ও আগামীকাল ৩ আগস্ট, এই দুই দিনব্যাপী বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন দেশজুড়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শতাধিক কার্যকর্তা ও সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব।
শনিবার সকাল দশটায় শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মারোয়ারি ভবনে এই ঐতিহাসিক বৈঠকের সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন এবিভিপির সর্বভারতীয় সভাপতি অধ্যাপক রাজশরণ শাহী, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডাঃ বীরেন্দ্র সিং সোলাঙ্কি, এবং সর্বভারতীয় সংগঠন সম্পাদক শ্রী আশীষ চৌহান।

শহরের বিভিন্ন অংশ ইতিমধ্যেই এবিভিপির পতাকা, দেওয়াল লিখন ও ব্যানারে সেজে উঠেছে। এবারে এবিভিপির লক্ষ্য — উত্তরবঙ্গে সংগঠনকে আরও জোরদার করা ও ছাত্র যুব সমাজকে দেশভক্তির পাঠে উদ্বুদ্ধ করা। উল্লেখযোগ্য, এর আগে এই ধরনের বৈঠক শেষবার হয়েছিল ১৭ বছর আগে দক্ষিণবঙ্গে।
এই কেন্দ্রীয় বৈঠকে শিক্ষানীতির দিকনির্দেশ, ছাত্রসমাজের সমস্যা, সদস্যতা অভিযান, বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে “ক্যাম্পাস চলো” যাত্রা, সাংগঠনিক মূল্যায়ন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। সংবাদমাধ্যমকে এবিভিপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডাঃ বীরেন্দ্র সিং সোলাঙ্কি বলেন, “২০২৬-এ বাংলায় পরিবর্তন আসন্ন। আজকের দিনে স্কুল-কলেজ দুর্নীতি আর অপরাধের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। প্রতিবাদীদের ওপর চলছে দমনপীড়ন। ভাষা আন্দোলনের সময় অনেক ছাত্র রাজ্য সরকারের গুলিতে শহীদ হয়েছেন। এবারে ছাত্র ও যুব সমাজই ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” উল্লেখ্য, এবিভিপি কার্যকর্তা সীতারাম ডালমিয়া উত্তরবঙ্গে এই ঐতিহাসিক বৈঠকের অন্যতম প্রধান সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।