পুলিশের মারে মৃত্যু হল এক মহিলার, অভিযোগ পরিবারের, ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার শহর সংলগ্ন গুড়িয়াহাটি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হরিণচওড়া গুদাম মহারানী এলাকায়। মৃতের নাম আম্বিয়া বিবি, তার বয়স ৫৫বছর। কোন মহিলা পুলিশ নয়, পুরুষ পুলিশরা মদ্যপ অবস্থায় আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। তাদের আক্রমণে আহত হয়েছেন এই পরিবারের পুরুষ সদস্যদের পাশাপাশি মহিলা সদস্যারাও বলে অভিযোগ।
এই মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার সকাল থেকেই চাঞ্চল্য সংশ্লিষ্ট এলাকায়। দোষী পুলিশের শাস্তির দাবির পাশাপাশি ন্যায় বিচারের দাবিতে এদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোচবিহার-দিনহাটা রাজ্য সড়কের হরিণ চওড়া এলাকায় পথ অবরোধে সামিল হলেন মৃতের পরিজনদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

আক্রান্ত পরিবারের সদস্য সদস্যারা জানান, এই এলাকার বাসিন্দা হাফিজ আলির ছেলে আমজাদ আলির একটি দোকান রয়েছে বাঁধের রাস্তার পাশে। বৃহস্পতিবার এই দোকানের সামনেই নিজেদের গাড়ি ধোয়ামোছা করছিলেন গাড়ির চালক। সংশ্লিষ্ট এই গাড়িটি পুলিশের ভাড়া নেওয়া। আমজাদ আলী এই গাড়ি চালককে অনুরোধ করেন গাড়িটির দোকানের সামনে থেকে সরিয়ে ধোঁয়া মজা করবার জন্য আর এতেই এই পুলিশের গাড়ি চালকের সাথে হাতাহাতি বেঁধে যায় আমজাদের। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন এই বিবাদ মিটিয়ে দেন।
কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে শুক্রবার রাতে আচমকা পাঁচটি গাড়িতে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ হানা দেয় এই হাফিজ আলির বাড়িতে। রীতিমতো বাড়ি ঘিরে ফেলে বেধরক মারধর করা হয় বাড়ির পুরুষ ও মহিলাদের। তাদের মারে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় হাফিজ আলির স্ত্রী আম্বিয়া বিবির বলে অভিযোগ। হাফিজ আলি সহ তার দুই ছেলে আমজাদ আলী এবং এমজাদ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ বলে জানা গেছে।

দেড় ঘন্টা ধরে পথ অবরোধ চলার পর ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় কোচবিহার জেলা পুলিশের ডেপুটি পুলিশ সুপার চন্দন দাস, কোচবিহার কোতোয়ালি থানার আইসি তপন পাল সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরবর্তীতে পুলিশের আশ্বাসে পথ অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।















