পুজোর আগে জলপাইগুড়ি শহরে ফের খাদ্য সুরক্ষা অভিযান। খাদ্যের গুণগত মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর। শহরের একাধিক খাবারের দোকান, রেস্টুরেন্ট ও বেকারি এই অভিযানের আওতায় আসে। এদিন দপ্তরের আধিকারিকদের পাশাপাশি দমকল বিভাগের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের সময় দোকানগুলিতে মজুত রাখা খাদ্যসামগ্রীর মান, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেজিং ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। বিশেষ করে বেকারিগুলিতে তৈরি হওয়া খাবারের প্যাকেটগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করেন আধিকারিকেরা। খাবার প্রস্তুতি ও পরিচ্ছন্নতার মানও যাচাই করা হয়।

এদিন নয়া বস্তি এলাকার একটি বেকারিতে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রশ্ন তোলা হয়। দমকল আধিকারিকদের মতে, সঠিক একজস্ট ব্যবস্থা না থাকলে যেকোনও সময় অগ্নিকাণ্ডের মতো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট বেকারি মালিককে দ্রুত সঠিক ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা জানান, বেশকিছু দোকানে পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেসব ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স ও সরকারি নিয়মনীতি মেনে ব্যবসা চালানো হচ্ছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হয়েছে। জেলা কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর দেবাশীষ মণ্ডল বলেন, “নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন খাবারের দোকান, বেকারি, মিষ্টির দোকান, রেস্তোরায় পরিদর্শন চালাচ্ছি। মালিকরা যথাযথ লাইসেন্স নিয়ে সরকারি নিয়ম মেনে ব্যবসা করছেন কি না, তা দেখা হচ্ছে। নিয়মিত অভিযানের ফলে শহরের চিত্র অনেকটাই বদলেছে। তবে কিছু জায়গায় ফায়ার লাইসেন্স সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় লাইসেন্স নিয়ে নিতে বলা হয়েছে।” জলপাইগুড়ি ফায়ার স্টেশনের ওসি গোবিন্দ রায় বলেন,”নয়া বস্তি এলাকার একটি বেকারিতে ভেন্টিলেশনের সমস্যা ধরা পড়েছে। রান্নাঘর ও ওভেন থেকে উৎপন্ন ধোঁয়া ও গরম বাতাস বেরোনোর সঠিক ব্যবস্থা না থাকলে বড় বিপদ ঘটতে পারে। মালিককে দ্রুত সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”