জাতীয় সড়কে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পথচারীর। বুধবার এই ঘটনার প্রতিবাদে অসম – বাংলা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বক্সিরহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও দমকলের একটি ইঞ্জিন। তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের বারকোদালী -১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিঙাপূর্ণী ঘটনা। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকে বাঁধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নাতিকে সঙ্গে নিয়ে পাশের অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে এসেছিলেন কাঞ্চন বালা বর্মন নামে ওই মহিলা। সেন্টারে সামনে দাঁড়িয়ে নাতির জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। সেই সময় ইট পরিবহনের দুটি পিকআপভ্যান বেপরোয়া গতিতে তুফানগঞ্জ থেকে বক্সিরহাটের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়ক থেকে কাঁচা রাস্তায় নেমে ওই মহিলাকে সজোরে ধাক্কা মেরে দ্রুত গতিতে ছুটতে থাকে ওই পিকআপ ভ্যান। দুর্ঘটনার ফলে ছিটকে গিয়ে পড়েন ওই মহিলা। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় ঘাতক পিকআপ ভ্যান চালক। মাথা ফেটে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। বেপরোয়া গাড়ি ধাক্কায় মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। ঘাতক গাড়ির চালককে গ্রেপ্তারের দাবিতে তুফানগঞ্জ- বক্সিরহাট সংযোগকারী জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করতে আসলে প্রথমে পুলিশকে বাঁধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গেও বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।

এদিন প্রায় তিন ঘন্টা ধরে চলে এই অবরোধ। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয় জাতীয় সড়কে। শেষ পর্যন্ত পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কাঞ্চনবালা বর্মন (৫৫) বছর। তিনি বারকোদালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিঙ্গাপূর্ণীর বাসিন্দা। শেষ পর্যন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘাতক গাড়ির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।