মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে সীমাহীন পানীয় জল সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে দিনহাটা পৌরসভার নাগরিকদের। প্রতিনিয়ত পানীয় জল সংকট বাড়ছে এই শহরের বাসিন্দাদের। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি নিয়ে বুধবার কোচবিহার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে সাক্ষাৎ করলেন দিনহাটা পৌরসভার পৌর প্রধান অপর্না দে নন্দী, উপ পৌর প্রধান সাবির সাহা চৌধুরী সহ এই পৌরসভার একাধিক কাউন্সিলররা।
এদিন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিনহাটা পৌরসভার পৌর প্রধান অপর্না দে নন্দী এবং উপ পৌর প্রধান সাবির সাহা চৌধুরী জানান, দিনহাটা শহরে আম্রুত-২ প্রকল্পের অন্তর্গত পানীয় জলের পাইপলাইনের কাজ শুরু হয়েছে শহরের প্রত্যেকটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে।

কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা হল, এই কাজটি মূলত করছে মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট বা এম.ই.ডি। তারা টেন্ডার দিয়ে এই কাজটি করাচ্ছে। কিন্তু এই কাজটি করতে গিয়ে যখন নতুন পাইপলাইন পাতার কাজ শুরু করা হচ্ছে ঠিক তখনই পুরনো পাইপলাইনগুলি ভেঙে যাচ্ছে সেখানে লিকেজ দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে পুরনো পাইপলাইন ঠিক করার কথা এম.ই.ডি-র পক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর এই পুরনো পাইপ লাইন মেরামত করছে না। আর এই দুই দপ্তরের নিজেদের আকচাআকচিতে প্রবল পানীয় জল সংকটে পড়তে হচ্ছে দিনহাটা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিকদের। দীর্ঘ ছয় মাস যাবত এই কাজ শুরু হয়েছে আর এই ছ মাস থেকেই তীব্র পানীয় জল সংকট দেখা দিয়েছে দিনহাটা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। এই পরিস্থিতিতে তাই দিনহাটা পৌরসভার কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে তারা পৌর প্রধান এবং উপ পৌর প্রধান মিলে আজ দেখা করলেন কোচবিহার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের সাথে বলে এদিন জানান তারা। তবে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এর কথায় ১০০শতাংশ আশ্বস্ত হতে পারেননি বলে এদিন জানান তারা।