অবিরাম বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসে বিপর্যস্ত পশ্চিম সিকিম। শুক্রবার গভীর রাতে ইয়াংথাং বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত আপার রিম্বি গ্রামে ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ভূমিধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে চারজনের, গুরুতর আহত হয়েছেন এক মহিলা। তবে অন্ধকার রাতেও অক্লান্ত পরিশ্রমে উদ্ধারকর্মীদের সাফল্য—ভূমিধসের মাঝেই জীবিত অবস্থায় মিলেছে এক সাত বছরের শিশু।
ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই দ্রুত তৎপর হয় পুলিশ, শশস্ত্র সীমা বল (SSB), স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ভেসে যাওয়া নদীর ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে তৈরি হয় অস্থায়ী সেতু। তার সাহায্যে উদ্ধার করা হয় দুই মহিলাকে। তবে তাঁদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রাত দু’টো নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ভীম হাং লিম্বু। তিনি নিজে উদ্ধার অভিযানের তদারকি করেন। গ্যাজিং জেলার পুলিশ সুপার ছেরিং শেরপা জানান, “অবিরাম বৃষ্টি ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকা উদ্ধারকাজে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবুও স্থানীয় মানুষ ও একাধিক সংস্থার সমন্বয়ে আমরা প্রাণ বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।”
এই দুর্ঘটনা ফের একবার প্রমাণ করল, পাহাড়ি এলাকায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলায় দ্রুত প্রশাসনিক প্রস্তুতি ও যথাযথ পরিকল্পনা কতটা জরুরি। স্থানীয়দের সাহস ও তৎপরতা যেমন প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করেছে, তেমনই উন্মোচিত হয়েছে পাহাড়ি জীবনের ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা। এখন প্রয়োজন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পুনর্বাসন ও ভবিষ্যতে এরকম বিপর্যয় এড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।