পরনে স্কুলের পোশাক, রাস্তায় দাঁড়িয়ে মারপিটে জড়াল স্কুল ছাত্রীরা।কেউ লাথি বা কেউ চুল ধরে টানাটানি এই চিত্রতে স্তম্ভিত এলাকা।স্কুলের সুত্রে খবর ক্লাসরুমে বেঞ্চে বসা নিয়ে নবম শ্রেনীর ছাত্রীদের মধ্যে সমস্যা হয়েছিল।তা নিয়ে বচসাও হয়। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রাগ লুকিয়ে রেখে স্কুল কর্তৃপক্ষকেও কিছুই জানায় নি পড়ুয়ারা।এরপর রাস্তায় বেরিয়ে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়ালো তারা। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড় আলতা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ডাউকিমারীতে।

মূল ঘটনার সূত্রপাত শনিবার বিকালে। দেখা গিয়েছে, দশ জনের বেশী সংখ্যক এক দল ছাত্রী স্কুল থেকে বেরিয়ে চৌহদ্দি এলাকায় যাওয়ার রাস্তায় আচমকাই প্রথমে বচসা এবং পরে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। দুইপক্ষের ছাত্রীর মধ্যে কেউ কাউকে লাথি মেরে পিচের রাস্তার ওপর শুইয়ে দিচ্ছে তো কেউ চুল ধরে টেনে রেখে ভূল স্বীকার করতে বলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মারপিট ছাড়াতে এসেও বিপাকে পড়ে। কোনও ছাত্রীই কারো কথাই শুনতে চাননি। স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, স্কুলে সিটে বসা নিয়ে দুই পক্ষের পড়ুয়াদের মধ্যে ঝামেলা বাধে।কিন্তু কোনও পক্ষই স্কুল কর্তৃপক্ষকে ঝামেলার বিষয়ে কিছুই জানায় নি। তারা স্কুল ছুটির পর বাইরে গিয়ে ঝামেলা শুরু করে। মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। স্কুলের বাইরে গিয়ে এভাবে মারপিটে জড়িয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষও যথেষ্ট লজ্জিত। তারা প্রথম দিকে পড়ুয়াদের নিজেদের স্কুলের ছাত্রী বলে স্বীকার করতে চায় নি। তবে শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে স্কুল কর্তৃপক্ষ নবম শ্রেনীর ছাত্রীদের নিজেদের স্কুলের ছাত্রী বলে স্বীকার করে ৷ স্কুলের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক রামকৃষ্ণ রায়ের কথায়, সিটে বসা নিয়ে ঝামেলা এবং সেই থেকে বাইরে গিয়ে মারামারি করেছে। স্কুল গ্রাউন্ডে ঘটনা ঘটলে স্কুল দায়িত্ব নিতে পারত। কিন্তু তেমনটা হয় নি। স্কুলের টিচার ইন চার্জ রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ঘটনা স্কুলের বাইরে ঘটেছে। সোমবার স্কুলে অভিভাবকদের ডেকে ঐ ৮ জন ছাত্রীকে সাসপেন্ড করা হয়।