শহরের অলিগলি, বাজার থেকে শুরু করে চায়ের দোকান—প্রতিদিনই পথকুকুরের উৎপাত বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে, গত তিন মাসে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ পথকুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিদিন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন গড়ে অন্তত ৫৫ জন। বেসরকারি পরিসংখ্যান ধরলে সেই সংখ্যা একশোর কাছাকাছি। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। ডাম্পিং গ্রাউন্ড সংলগ্ন চিকিৎসালয়ে একজন বেসরকারি পশুচিকিৎসক নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

থাকবেন কুকুর ধরার দু’জন কর্মী, দু’জন সহায়ক ও একজন অফিসকর্মীও। পাশাপাশি শুরু হচ্ছে নির্বীজকরণ কর্মসূচি।
পুরনিগমের পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ সিক্তা দে বসু রায় জানিয়েছেন, “নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে। একইসঙ্গে নির্বীজকরণ কার্যক্রমও চালু করা হবে।”
পশুপ্রেমী প্রিয়া রুদ্র মনে করছেন, এই পদক্ষেপ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে মানুষ ও পশুর মধ্যে সহাবস্থানের পরিবেশ তৈরি হবে। তাঁর কথায়, “এমন উদ্যোগ পুরনিগমকে আরও বেশি নিতে হবে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যার জটিলতা যতই বাড়ুক না কেন, পরিকল্পিত ও মানবিক উদ্যোগই এর স্থায়ী সমাধান আনতে পারে। শিলিগুড়ি পুরনিগমের এই উদ্যোগে তাই শহরবাসীর মধ্যে নতুন করে আশার আলো দেখা দিয়েছে।