স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১০৮। শিক্ষক মাত্র এক!নেই পর্যাপ্ত ক্লাসরুম। দুটি ক্লাসরুমেই কোনরকম চলছে পড়াশোনা। একটি স্কুলে পড়ুয়াদের যে সুবিধা থাকা প্রয়োজন তার সিকিঅংশোও নেই স্কুলে। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় শিক্ষা ব্যবস্থায় ধুঁকছে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের রামপুর-২গ্রাম পঞ্চায়েতের গড়ভাঙ্গা জুনিয়র হাই স্কুল। এই স্কুলে একজন শিক্ষক। তিনিই পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস নেন। তিনি যদি অসুস্থ হন বা কাজের জন্য ছুটি নেন তাহলে গোটা স্কুলটি ছুটি হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে তৈরি হয় গড়ভাঙ্গা জুনিয়ার হাই স্কুলটি। এই স্কুলে শুরু থেকেই একজন শিক্ষক। সেই সময় স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ৭০জন। এখন পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১০৮ । এরপর ২০১৮ সালে একজন গ্রুপ-ডি কর্মী হিসেবে যোগ দেন স্কুলে। সম্প্রতি ওই কর্মীও চাকরি হারিয়েছে। এখন একজন শিক্ষক দিয়েই চলছে গোটা স্কুল। স্কুলে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম না থাকার ফলে একটি ক্লাসরুমে দুটি করে শ্রেণীকক্ষ থাকার ফলে পড়াশুনা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদের। স্কুলটিতে উন্নয়নে প্রশাসনের নজর না পড়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও এ ব্যাপারে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের রামপুর সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বিপ্লব সিংহ বলেন, স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি উপরমহলে জানানো হয়েছে। স্কুলের অন্য সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
পড়ুয়ারা জানায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ শ্রেণীকক্ষের অভাব রয়েছে, সেই সাথে একাধিক সমস্যা রয়েছে। তারা চায় বিদ্যালয়ে আরো শিক্ষক আসুক এবং সেই সাথে পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষের ব্যবস্থা করা হোক।
অভিভাবকদের দাবি,প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকায় পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে স্কুলের পড়ুয়ারা। তাই অনেকেই তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুল থেকে সরিয়ে প্রায় কয়েক কিলোমিটার দূরে অন্য স্কুলে ভর্তি করাচ্ছেন। একজন শিক্ষক চারটি শ্রেণির ক্লাস নেওয়ায় যেমন পড়াশোনার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷ তেমনই কচিকাঁচাদের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তায় অভিভাবকরা । দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলে শিক্ষকের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। শিক্ষকের অভাবে পড়ুয়ারা পড়াশোনার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা চাই স্কুলের স্থায়ী শিক্ষক আসুক।
যদিও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় দত্ত তিনি স্কুলে শিক্ষকের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন,একার পক্ষে পড়ুয়াদের সামলানো যথেষ্ট কষ্টকর।কমপক্ষে আরও তিন জন শিক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে। পরিকাঠামোর উন্নতি এমনকি আরও শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি