সারা দেশে বর্তমানে সমস্ত জঙ্গল বন্ধ আছে কিন্ত বনদফতরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জয়ন্তী মহাকালে যায় প্রতিবেশী রাজ্য আসামের প্রায় ৭০ জন পুণ্যার্থী। পরবর্তীতে গতকাল ফেরার সময় জয়ন্তী গেটে তাদের আটকে দেয় বনদফতর।চাওয়া হল জরিমানাও, এমনই দাবি আটক পুণ্যার্থীদের। সকলেই আসামের ধুবরীর বাসিন্দা বলে জানান তারা। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টার আটকানোর পর তাদেরকে ছাড়া হয়।
তাদের কথায়, প্রায় ৭০ জনের একটি দল সোমবার শ্রাবণ মাস উপলক্ষে জয়ন্তী ছোট মহাকালে পুজো দেওয়ার জন্য চারটি ছোট গাড়ি ও বাসে করে ধুবরী থেকে জয়ন্তীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর রবিবার রাতে রাজা ভাতখাওয়াতেই রাত্রিযাপনের পর আসাম থেকে ভাড়া করে নিয়ে আসা বাসটি রাজা ভাতখাওয়ায় রেখে ৪২ জন গতকাল সকালে সরকারি বাসে করে রওনা দেন জয়ন্তীর উদ্দেশ্যে, আর বাকিরা সেই ছোট গাড়িতেই রাজা ভাতখাওয়ায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের প্রবেশদ্বার পেরিয়েই জয়ন্তীর উদ্দেশ্যে যান।

এরপরই গতকাল সন্ধ্যায় পুণ্যার্থীদের ওই দল পুজো দিয়ে ফিরলে তাদের গেটে আটকে দেয় বনদফতর, কেন বনদফতরের নিয়ম অমান্য করে তারা গেছেন তা জানতে চাওয়া হয় এবং এক হাজার টাকা করে জরিমানাও দিতে বলা হয় বলে দাবি পুণ্যার্থীদের।
এ বিষয়ে এক পুণ্যার্থী বলেন, “অজান্তেই এমনটা হয়েছে।এখন হঠাৎ আমাদের আটকে এক হাজার টাকা জরিমানা চাওয়া হচ্ছে, এমন অবস্থায় একপ্রকার হেনস্থার শিকার হচ্ছি আমরা।
মূলত বর্ষার তিনমাস জঙ্গল বন্ধ থাকায়, নিষিদ্ধ এই জঙ্গল ঘেরা এলাকায় প্রবেশ। তবুও, এরা ভুল তথ্য দিয়ে সেখানে প্রবেশ করেছে বলে বনদপ্তরের সূত্রের খবর।
অপরদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা, তিনি বনদপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকদের সাথে কথা বলেন। পরবর্তীতে পুণ্যার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।