শুক্রবার আলিপুরদুয়ার এক নম্বর ব্লকের পররপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বস্টারি এলাকায় মালতি দাস নামে এক মহিলা বাড়িতে নারায়ণ পূজোর আয়োজন করে। সম্পূর্ণ ধার্মিক রীতিনীতি মেনে সেই পুজো সম্পন্ন হয়। পুজোতে আশপাশের এলাকার শতাধিক গ্রামবাসী আমন্ত্রিত ছিলেন। পুজো শেষে নারায়ণ ঠাকুরের সিননিপ্রসাদ গ্রহণ করেন এলাকার শতাধিক বাসিন্দা। এমনকি আগত গ্রামবাসীদের ডাল ভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয় আয়োজক পরিবারের পক্ষ থেকে। শুক্রবার পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। শনিবার দুপুরের পর থেকে আচমকাই গ্রামের বেশ কয়েকজন নাগরিকের পেট ব্যথা এবং পাতলা পায়খানা শুরুহয়।

সেই সময় ওই ব্যক্তিরা যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করলে তাদের আলিপুরদুয়ার এক নম্বর ব্লক পাঁচকলগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল গড়াতে গড়াতে সেই সংখ্যা আরো বাড়তে শুরু করে। তখনো পর্যন্ত অসুস্থতার কারণ নিয়ে কারোরই মনে কোন প্রশ্ন জাগেনি। তবে রবিবার সকাল থেকে প্রায় কুড়ি জনেরও বেশি নাগরিক ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। আচমকা এলাকার এতগুলো মানুষ অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে এলাকাবাসীদের মনে প্রশ্ন জাগে। এরপরেই খোঁজখবর নিলে পুজো বাড়ির প্রসাদ খেয়েই গ্রামবাসিন্দারা অসুস্থ হচ্ছেন বলে জানতে পারা যায়। ঘটনা জানাজাতেই হতেই এলাকায় শোরগোল শুরু হয়। জানা গেছে রবিবার দুপুর পর্যন্ত এলাকার মোট ৫০ জনেরও বেশি নাগরিক প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচকলগুলি গ্রামীণ হাসপাতালে মোট ১০ জন রোগী চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া তিনজন আশংকা জনক অবস্থায় থাকায় তাদেরকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।ঘটনার খবর পেতেই তদন্তে নেমেছে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। ঠিক কি কারণে গ্রামের বাসিন্দারা অসুস্থ হচ্ছেন সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে গ্রামের বাসিন্দাদের অসুস্থ হওয়ার কারণ সুনিশ্চিত করতে মালতী দাসের বাড়ি থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। সমগ্র ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকায়। এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তাদের তরফ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।