DIGITAL BANGLA NEWS

আপনার এলাকার খবর

“নাম বিভ্রাট”, একজনের প্রাপ্য আবাসের টাকা আরেকজনের একাউন্টে,বিপাকে প্রাপ্য উপভোক্তা

দুই উপভোক্তার নাম এক হওয়ায় একজনের প্রাপ্য আবাসের টাকা আরেকজনের একাউন্টে চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে প্রাপ্য উপভোক্তা। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে তুফানগঞ্জ মহকুমা জুড়ে! বিষয়টি বিডিও থেকে শুরু করে জেলা শাসক কে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও হতাশায় ভুগছেন প্রকৃত উপভোক্তা। এদিকে আবাসের টাকা পেয়ে ঘর বানিয়ে ফেলেছেন অন্য এক ব্যক্তি। জানা যায়, তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের শালবাড়ি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রথম খন্ড বাঁশরাজা এলাকার বাসিন্দা বছর ৬৫ র বৃদ্ধা মহামায়া দাস। স্বামী রাখাল চন্দ্র দাস আবাস যোজনায় বাড়ির আবেদন করেছিলেন।

কিন্তু গত তিন বছর আগে রাখাল চন্দ্র দাস মারা যান পরবর্তীতে তার স্ত্রী মহামায়া দাস বিডিওর কাছে আবেদন করেন তার স্বামীর নামে ঘর যাতে তার নামে করে দেওয়া হয়। সেই মতো মহামায়া দাসের নামে বাড়ি তৈরির প্রথম তালিকায় নাম আসে। কিন্তু অভিযোগ বাড়ির তৈরির টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। এরপর তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর এবং বিডিও অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারেন বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তি টাকা পেয়েছেন তিনি । এই কথা শুনে তাঁর চোখ কপালে ওঠে। পরবর্তীতে মহামায়া দাসের ছেলে অনুকূল দাস তার মাকে নিয়ে বিডিও অফিসে পুনরায় গিয়ে জানতে পান। মহামায়া দাসের নামে আবাসের টাকা ঢুকে অঞ্জলি দাস নামে অপর এক ৭০ উর্ধ্ব বৃদ্ধার একাউন্টে। অভিযোগ, ব্লক প্রশাসন মহকুমা প্রশাসন এমনকি জেলাশাসকের কাছে বারংবার অভিযোগ জানিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবাসের প্রথম কিস্তির টাকার আশ্বাস দিলেও এখনও পর্যন্ত কোনও টাকা পাননি বলে অভিযোগ বৃদ্ধা মহামায়া দাস ও তার ছেলে অনুকূল দাসের।
অপরদিকে বাড়ি তৈরির টাকা পেয়ে ইতিমধ্যে বাড়ি তৈরি করে ফেলেছেন অঞ্জলি দাস নামে ৭০ ঊর্ধের অপর বৃদ্ধা। এ বিষয়ে অঞ্জলি দাস ও তার ছেলে রঞ্জিত দাস জানান, প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে বাড়ি তৈরি করেছি। অঞ্জলি দাসের ছেলে রঞ্জিত দাসের কোথায় মায়ের নামও আবাস যোজনার ঘরের লিস্টে রয়েছে। এমনকি আমাদের কাছে আইডি নম্বরও রয়েছে আমাদের প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকেছে কিন্তু এখনও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢোকেনি। তবে প্রশাসনের গাফিলতির খেসারত কি এখন আমাদের দিতে হবে বলে জানান তিনি।
যদিও প্রশাসনের গাফিলতির বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন কোচবিহার জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলা শাসক সৌমেন দত্ত। তিনি বলেন, বেনিফিশিয়ারির নাম এক হওয়ায় কারণে টাকা অঞ্জলি দাসের একাউন্টে চলে গিয়েছে। যদিও অঞ্জলি দাসকে টাকাটি ফেরত দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে তবে তিনি টাকা পেয়ে ঘর করে ফেলেছে বলে শুনতে পেরেছি। যেহেতু মহামায়া দাস অরজিনাল বেনিফিশিয়ারি তাকেও ইন্সট্রাকশন দেওয়া হয়েছে তিনিও টাকা পেয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন...

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live TV

play-sharp-fill

নতুন খবর আবার পড়ুন