এক নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক মামার বিরুদ্ধে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। অভিযোগ বাড়ী ফাঁকা থাকা সুযোগ নিয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী মামা। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে গোটা ঘটনার কথা পরিবারকে জানালে কিশোরীর পরিবার সোমবার বক্সিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ফিরাজ শেখ ওরফে মন্টুকে দুপুরে গ্রেপ্তার করে বক্সিরহাট থানার পুলিশ।

তবে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪বছরের ওই কিশোরী স্থানীয় স্কুলের পড়ুয়া। অভাবের তাড়নায় বাবা ও মা দুজনেই দিন মজুড়ের কাজের সাথে যুক্ত। তা দিয়েই কোন রকমে চলে সংসার। প্রতিদিনের মতোই মা ও বাবা দুজনেই কাজে চলে যান। বিগত কয়েকদিন আগে স্কুল ছুটি থাকায় একাই বাড়িতে ছিলেন ওই নাবালিকা। অভিযুক্ত প্রতিবেশী ওই বাড়ির পাশে সম্পর্কে মামা হওয়ায় ভাগ্নিকে ডেকে দোকানে তামাক যত দ্রব্য আনার কথা বলে দোকানে পাঠায়। এমত অবস্থায় নাবালিকা তামাকজাত দব্য নিয়ে প্রতিবেশী মামার বাড়িতে গেলে জোরপূর্বক টেনে হিঁচড়ে ঘরের নিয়ে যায় অভিযুক্ত । পরবর্তীতে নাবালিকা সেই মেয়ে চিৎকার করলে মুখ চেপে ধরে মুখে গামছা বেঁধে দেয় আভিযুক্ত । তারপর বারংবার সেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে এবং কাউকে সেই কথা বললে তার পরিবার সমেত প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত তরুণীকে। পরবর্তীতে মেয়ের অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত তাকে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরিবারের তরফে এমনটাই জানান নবালিকা মেয়ের বাবা । তিনি আরো বলেন মেয়ে বর্তমানে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে অবস্থা মোটেও ভালো নেই। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করেছে প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন আসামির কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি যেনো হক।