পাঁচ মাসের মধ্যেই পকসো মামলার রায় ঘোষণা। নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তকে ২৫বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত।
জানা গেছে, এবছরের জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে সদর ব্লকের অষ্টম শ্রেণীর এক নাবালিকা ছাত্রী বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। সেসময় অভিযুক্ত টোটো চালক তাকে স্কুলে না নিয়ে গিয়ে চকোলেট খাইয়ে অচৈতন্য করে তিস্তা স্পারে নিয়ে যায়। এরপর একটি ঝুপড়ি ঘরে তাকে ধর্ষণ করে। পাশাপাশি ঐ টোটোচালক নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে বলে এই ঘটনা কাউকে বললে নাবালিকা ও তার মাকে মেরে ফেলবে। এরপর অভিযুক্ত টোটোচালক আবার নাবালিকা ছাত্রীকে বাড়িতে পৌছে দেয়।

এদিকে নাবালিকার মা লক্ষ্য করে যে তার মেয়েকে কেমন ভীতসন্ত্রস্ত দেখাচ্ছে। যদিও নাবালিকা ভয়ে ঘটনাটি বলেনি। কিন্তু এর কিছুদিন পর নাবালিকার স্কুল ব্যাগে একটি প্রেগনেন্সি কিট দেখতে পান তার মা। এরপর নাবালিকা তার মাকে গোটা ঘটনার কথা বলে। গোটা ঘটনা শুনে সেদিনই নাবালিকার মা কোতয়ালী থানায় টোটো চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তৎপরতায় সহিত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং একমাসেরও আগে চার্জশিট দাখিল করে। আর এদিন মোট ১০ জন সাক্ষীর সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক রিন্টু শুর অভিযুক্তের ২৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এক লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দু’মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও ভিকটিমকে ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির পক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।