ধূপগুড়ি ব্লকের বগরীবাড়ী এলাকা আজ যেন এক মৃত্যুপুরী। চারিদিকে শুধু হাহাকার আর ধ্বংসের ছবি। জলঢাকা নদীর প্রলয়ংকরী স্রোতে একের পর এক পাকা বাড়ি ভেঙে পড়ছে নদীগর্ভে। গ্রামের বহু অংশ এখন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত। চাষের জমি পলির স্তূপে ঢেকে গেছে, আর যেসব পথ ছিল মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা, সেগুলিও এখন অচল হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ভেতরের গ্রামগুলিতে সঠিকভাবে ত্রাণ পৌঁছায়নি। বহু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে রেললাইনের ধারে, খোলা আকাশের নিচে তাবু খাটিয়ে চলছে তাদের দিনযাপন। রাত নামলেই শীত, বৃষ্টি আর আতঙ্কে কেটে যাচ্ছে নিদ্রাহীন রাত। ছোট ছোট শিশুদের কোলে নিয়ে অন্ধকারের মধ্যেই কোনও রকমে দিন পার করছেন দুর্গত পরিবারগুলি।
একজন দুর্গত বাসিন্দার কথায়, “বাড়িঘর সব ভেসে গেছে। নদীটাকে এখন আর চিনতে পারি না। কোথা থেকে জল আসে, কোথায় যায় কিছুই বোঝা যায় না।”
পুরো বগরীবাড়ী অঞ্চল এখন প্রশাসনের হস্তক্ষেপের অপেক্ষায়। দ্রুত ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।