উল্টো রথের মেলায় ঝামেলা থেকে হাতাহাতি,দুজন আহত। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। কিন্তু মদ্যপ যুবকদের হাতে পুলিশকেই হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে ৷ এর মধ্যে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ছেলের বন্ধু পুলিশকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ,আর আইনের পক্ষ না নিয়ে বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে আটক সভাপতির ছেলে সহ মোট পাঁচজন।
রাতেই ক্ষমতা খাটিয়ে ছেলে ও তার দুই বন্ধুকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে বিজেপি।যদিও তৃণমূলের দাবি এখানে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই।

জানা যায় প্রতিবছরের মতো এবছরও উল্টো রথের দিন মেলার আয়োজন করেছিল কদমতলা বাজার রথযাত্রা কমিটি।বাজারের পাশে মাঠে মেলা বসেছিল।অভিযোগ মেলার শেষ মুহূর্তে কয়েকজন যুবকের মধ্যে ঝামেলা বাধে।বিষয়টি পুলিশের নজর পড়তেই পুলিশ যুবকদের সরিয়ে দেয়।এরপরই কয়েকজন যুবক পুলিশকে হেনস্থার করে বলে অভিযোগ।সেখানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ছেলে সহ বন্ধুরা।পুলিশকে হেনস্থার করার পরও পুলিশ লাঠিচার্জ করে।পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ছেলে সহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।বিজেপির ধূপগুড়ি বিধানসভার কো কনভেনর নরেশ রায় বলেন রথের মেলাতে ঝামেলা হয়েছিল।পুলিশকে হেনস্থার ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাই।কিন্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাতে জোর খাটিয়ে তার ছেলে সহ তিনজনকে থানা থেকে নিয়ে যায়।বাকি দুইজনকে আটক করে পুলিশ।এখানে রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হয়েছে।এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ মজুমদার বলেন এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় নেই।সকলে মিলে মেলার আয়োজন করা হয়েছিল।ছোটো একটি ঝামেলা হয়।পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ছেলেকে নিয়ে এসেছিল।কিন্ত তাকে পুলিশ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয় ব্যক্তিগত।এখানে দলের কোনও বিষয় নেই।এদিকে মেলা কমিটির সম্পাদককে আটক করেছিল পুলিশ।পরবর্তীতে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নেন তিনি।সম্পাদক গৌরাঙ্গ দে বলেন ঝামেলার সময় ছিলাম না।খবর পেয়ে মেলাতে এসেছিলাম।সেই সময়ে পুলিশ আমাকে সহ পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে আসে।পুলিশকে হেনস্থার বিষয়ে জানা নেই।