বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলাভাষী হিন্দুদের নিয়ে উচ্ছেদের আশঙ্কা প্রকাশ করতেই রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এবার সেই আশঙ্কার মধ্যেই অসমের ধুবড়ি জেলায় হিন্দু বাংলা ভাষীদের বাড়িঘর উচ্ছেদের নোটিশ দিল অসম প্রশাসন। উচ্ছেদের নোটিশ হাতে পেয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নামলেন শয় শয় বাংলাভাষী হিন্দুরা। অসমের ধুবড়ি জেলার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাহাদুর টাড়ী এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি অসমে ধুবড়ি ফুলবাড়ী নিম্নীয়মান সেতু পাশে একটি স্টিমার ঘাটের জন্য লিঙ্ক রোড নির্মাণ হবে। সেই লিঙ্ক রোড নির্মাণের জন্য বাহাদুর টাড়ী এলাকার বাড়িঘর সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অসম প্রশাসন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ধূবড়ীর রাজপথে দফায় দফায় আন্দোলনের নামেন বাহাদুর টাড়ী এলাকার শয় শয় বাংলাভাষী বাসিন্দারা। তাদের দাবি আমরা বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী থাকা সত্ত্বেও অসম সরকার আমাদের উচ্ছেদ এর নোটিশ দিয়েছে। যদি আমাদের অন্যত্র ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে আমাদের পাট্টা দিল কেন সরকার। এখন আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাব। আমরা কোনভাবেই এই উচ্ছেদ মানি না। এই নিয়ে এদিন ধুবড়ির রাজপথে নামে সাধারণ মানুষ।

★ ধুবড়িতে বাংলাভাষী মানুষদের ওপর নির্যাতন চলছে তা নিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিতদের ভৌমিক জানান, আমরা যেটা আশঙ্কা করছি সেটাই সত্যি আসামে হিন্দুদের ওপর নিপড়ন চলছে। বাংলাভাষী বলেই তাদের অসম সরকার উচ্ছেদের নোটিশ ধরিয়েছে তাদের। তাদেরকে এলাকা ছাড়া করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি সরকার এটা আমরা তীব্র বিরোধিতা ও নিন্দা জানাই।
★এ নিয়ে তৃণমূল কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির কোচবিহার জেলা সহ-সভাপতি উজ্জ্বলকান্তি বসাক বলেন, এনিয়ে তৃণমূল মিছেমিছি রাজনীতি করছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্কে সৃষ্টি করছে তৃণমূল। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোন বিষয় নেই। যাদের সরকারি পাট্টা রয়েছে তাদের জন্য অসম সরকার পুনর্বাসন ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা করেছে। ভারতের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ দ্বিতীয় বড় সেতু নির্মাণের কাজ চলছে অসমের ধুবরি -ফুলবাড়ি তে। স্টিমার ঘাটে যাতায়াতের রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য ধুবরি শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কিছু বাড়ি ঘরে উচ্ছেদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে হিন্দুরা নিরাপদে রয়েছেন। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানান তিনি।