বিবাহিত এবং দুই সন্তান থাকা সত্বেও সেই সম্পর্ক লুকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে। পরবর্তীতে সে দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে শারীরিক নিগ্রহ, মুখে অ্যাসিড ছোড়ার হুমকি,পরিকল্পিত ভাবে ট্রাকের নিচে চাপা দিয়ে খুনের হুমকি সহ একাধিক অভিযোগে কাঠগড়ায় নদীয়া শান্তিপুর ব্লক-এ তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত সরকার। নিগৃহীতার দ্বিতীয় স্ত্রী অঙ্কিতা কুন্ডুর অভিযোগ, ২০২৩ সালের ২৩ মে নিজের প্রথম বিবাহিত সম্পর্ক লুকিয়ে তাঁকে বিয়ে করেন ওই তৃণমূল নেতা। পরবর্তীতে সেই সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার ফলে দুজনের দূরত্ব বাড়ে। এরপর থেকেই বিভিন্নভাবে ওই তৃণমূলের নেতা এবং তার পরিবার তাকে হুমকি দিতে থাকে।

কখনও অ্যাসিড হামলার হুমকি তো কখনও সরাসরি খুনের হুমকি দেওয়া শুরু হয়। শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় বিয়ের পরেও তৃতীয় আরেকটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে শুরু করে সুব্রত। তার প্রতিবাদ করলে অত্যাচার এবং হুমকির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়।
★ যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সুব্রত। অঙ্কিতা কুন্ডু আমার স্ত্রী নয়, পুরোপুরি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে,রাজনৈতিক ভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। একান্ত ভাবে জানালেন নদীয়ার শান্তিপুরের বধূ নির্যাতনে অভিযুক্ত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত সরকার। তিনি আরো জানান অভিযোগকারী মহিলা তাকে রাজনৈতিকভাবে অপদস্ত করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর পিছনে বেশ কিছু মানুষ জড়িত। তাদের বিরুদ্ধেও এবার আইনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন ব্লক সভাপতি সুব্রত সরকার।
★ প্রসঙ্গে শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, সুব্রত সরকার তৃণমূলের নেতা হলেও এ বিষয়টি তার জীবনের ব্যক্তিগত অংশ। কেউ রাজনীতি করে বলে তার ব্যক্তিগত জীবন থাকবে না এটা হতে পারে না। ব্যক্তিগত জীবনকে রাজনীতির ময়দানে টেনে না আনাই ভালো বলে মতামত ব্যক্ত করেন তিনি।
★ শান্তিপুরের বিজেপি নেতা চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। কসবায় তৃণমূলের নেতাই ধর্ষণে যুক্ত। আর এখানে তাদের নেতাই নারী নির্যাতনের কান্ডারী। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও বাংলার নারীরা কিভাবে লাঞ্ছিত সেটা দেখা যাচ্ছে।