দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত মালদার শীর্ষস্থানীয় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ওরফে বাবলা সরকারকে শুক্রবার সকালে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মালদা জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া, মাল্টি ইংলিশ বাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, তৃণমূল নেত্রী মৌসম বেনজির নুর, বিধায়ক নীহারঞ্জন ঘোষ, শিলিগুড়ি পুর নিগমের মেয়র গৌতম দেব সহ তৃণমূল নেতাকর্মী সমর্থকেরা।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন বিহারের বাসিন্দা এবং অন্য জন মালদার ইংরেজবাজারের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলের সাথে ছিলেন দুলাল সরকার। দলের যুব সংগঠনের সভাপতি থেকে দলের জেলা সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন। বর্তমানে তিনি দলের সহ-সভাপতি ও কাউন্সিলর।
ছাত্র বয়সেই রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। ১৯৯৫সালে কংগ্রেসের টিকিটে প্রথম কাউন্সিলর হন। কংগ্রেসি ঘরানাতেই রাজনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে থাকেন দুলাল ওরফে বাবলা সরকার।
১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন দল তৈরির সময় নেত্রীর ডাকে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। শুরু থেকেই নেত্রীর আস্থাভাজন ছিলেন বাবলা। সেই থেকে একটানা কাউন্সিলর ছিলেন। ২০০০ সাল থেকে পরপর পাঁচবার ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০০১ সালে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দায়িত্ব পান বাবলা সরকার। ২০০৫ সাল পর্যন্ত জেলা সভাপতি ছিলেন তিনি।
২০০৭ সালে এই দুলাল সরকারকে একই ভাবে বাড়ির সামনেই দুর্বৃত্তরা গুলি চালিয়ে খুনের চেষ্টা করে। সেই সময়ে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তিনি। কিন্তু এ বার আর শেষ রক্ষা হলো না। তিন বছর আগে তৃণমূল কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানের দেহরক্ষী তুলে নেয় জেলা পুলিশ।
এই ঘটনার সাথে যারা যুক্ত তাদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী মৌসুম বেনজির নূর। এই ঘটনার পর যে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তারা, এটাও অপ্রত্যক্ষ ভাবে উঠে আছে তার বক্তব্যে।

দুলাল সরকার হত্যাকান্ড একটি বড় চক্রান্ত বলে মনে করেন শিলিগুড়ি পুরনি গ্রামের মেয়র গৌতম দেব তার সাথে পুরনো সম্পর্কের কথা এদিন তুলে ধরেন তিনি। গৌতম দেব বলেন এই ঘটনার পেছনে যারা ছিল, সামনে যারা আছে, তাদের কাউকেই যেনো ছাড়া না হয়। তাদের সকলকে ধরতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে এদিন দাবি জানান তিনি।
