তপন থানার রামপাড়া চাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাবলাতলা এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় থাকা ৬ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা দ্রুত পাকা করার দাবিতে পথ অবরোধে সামিল হন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
বালু ডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুল থেকে চনরাইল, মুকতারামপুর হয়ে দক্ষিণ মুকতারামপুর পার্বতী স্কুল পর্যন্ত এই রাস্তাটি বহু বছর ধরে সংস্কারের অভাবে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ। বর্ষার সময় এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ে। এমনকী রোগী পরিবহণ কিংবা ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া-আসাতেও চরম সমস্যার মুখে পড়তে হয় বলে জানান স্থানীয়রা।

বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় নেতা-মন্ত্রীদের কাছে দাবি জানিয়েও কোনো স্থায়ী সমাধান না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে অবরোধে বসেন বাসিন্দারা। ডিটল থেকে নালাগোলা যাওয়ার প্রধান রাস্তায় অবরোধ হওয়ায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রামপাড়া চেঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ি ও তপন থানার পুলিশ। পরে তপন ব্লকের জয়েন্ট বিডিও দেবব্রত ঘোষও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। তবে গ্রামবাসীরা দাবিতে অনড় থাকায় প্রশাসনের আশ্বাস সত্ত্বেও অবরোধ তুলতে রাজি হননি তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “প্রতিবার ভোটের সময় নেতারা এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান, কিন্তু পরে আর কেউ ফিরেও তাকান না। আমরা আর ধোঁকায় পড়তে চাই না। এবার রাস্তাটি পাকাকরণের লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া অবরোধ তুলব না।”
অন্যদিকে, জয়েন্ট বিডিও দেবব্রত ঘোষ জানান, “এলাকার রাস্তার সমস্যার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি। কিন্তু এরপরও অবরোধ না ওঠায় আমরা আপাতত ফিরে এসেছি।”
এদিকে, দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই অবরোধের ফলে বহু যানবাহন আটকে পড়ে এবং যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তবে গ্রামবাসীদের একটাই কথা—“রাস্তা পাকা না হলে আন্দোলন চলবেই।”
এই ঘটনায় প্রশাসনের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেটাই এখন দেখার।