পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ, অভিযোগের তীর খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বিরুদ্ধে। যদিও ভাঙচুরের বিষয়টি পুরোটাই অস্বীকার করেছেন অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি।
জানা গিয়েছে তুফানগঞ্জ ১নং পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমিত তিওয়ারির বলরাম পুর বাজার সংলগ্ন এলাকার বাড়ির আসবাবপত্র বুধবার রাতে ভাঙচুর করে বলরামপুর 1 গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি কুমার নীরেন্দ্র নারায়নের নেতৃত্বাধীন এক দল দুষ্কৃতি। অমিত বাবু অভিযোগ করেন ফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করার পরেই তার বাড়িতে একদল দুষ্কৃতি নিয়ে আক্রমণ করে ।তার বাড়ির আসবাব পত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি ফোন মারফত প্রানে মারার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।

তিনি আরো জানান তিনি আগে বিজেপি করতেন কিন্তু পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেন। এটা নিরেন বাবু মেনে নিতে পারছে না। তাই তার উপরে এই আক্রমণ বলে জানান তিনি। রাত ভর আতঙ্কে ছিলেন তিনি।যদিও বলরামপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি কুমার নীরেন্দ্র নারায়ন আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনা অস্বীকার করে তিনি জানান গতকাল গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে তার ছেলের এবং অপর আরেকজনের মোটরসাইকেল পাশাপাশি ছিল। দুটো মটর সাইকেল একই ছিলো।ভুলবশত ওপর ছেলেটি নিরেন বাবুর ছেলের মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়।পরবর্তীতে জানতে পারেন নেশাগ্রস্ত এক যুবক তার মোটরসাইকেলটি ভুলবশত নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে ফিরিয়ে দেয়। যেহেতু নেশাগ্রস্ত ছেলে এবং বেশ কয়েকবার নেশা মুক্ত কেন্দ্রে তাকে রাখা হয়েছিল এবং চিকিৎসাও চলছিল তার। বাড়ির লোকের কথা এবং ছেলেটার কথা চিন্তা করে আইনানুগ ব্যবস্থা না করে যুবককে ছেড়ে দেন। এতেই অমিত বাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন যে টাকার বিনিময়ে নাকি বিষয়টি রক্ষা করা হয়েছে। তাকে উদ্দেশ্য করে সোস্যাল মিডিয়ায় ও দলীয় বিভিন্ন গুরূপে এই পোস্ট করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং বিষয়টি জানার জন্য তার বাড়িতে যান। কিন্তু তার ঘরের কোনোও আসবাবপত্র তিনি ভাঙচুর করেন নি। থানা সূত্রে খবর ঘটনা কেন্দ্র করে দুই পক্ষর তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।