মানসাই বাজারের ব্যবসায়ীর দোকান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নয়া মোড় ।পুরোটাই ষড়যন্ত্র পাকড়াও এক ষড়যন্ত্রকারী। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা এবং শুক্রবার সকাল ১১ টা নাগাদ এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন ওই ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দীক। জানা গিয়েছে দোকানে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত রাখার অভিযোগে বক্সীহাট থানার পুলিশ গত ২৭ শে জুন অভিযান চালিয়ে মানসাই বাজার এলাকা থেকে আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক ব্যবসায়ীকে এ গ্রেফতার করেছিল । আদতে ওই ব্যবসায়ী যে নিরপরাধ তা প্রকৃত অর্থেই সামনে আসে বৃহস্পতিবারের রাতের ঘটনায়। পূর্ব আক্রোশের জেরে সার কেনার অজুহাতে সুযোগ বুঝে আগ্নেয়াস্তুটি দোকানে রাখা হয়েছিল ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর জন্য ।

তাতে সাময়িকভাবে সাফল্য আসলেও ব্যবসায়ী যে নিরপরাধ তা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিল ওই ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল তুফানগঞ্জ দুই ব্লকের মানসাহ এলাকা। একেবারেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। শুরু থেকেই ওই ব্যবসায়ী নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মানসাই বাজার এলাকা থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের একজনকে চিনে ফেলে এবং পাকড়াও করে উত্তম মধ্যম দিতেই গর গর করে ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করে অসমের বাসিন্দা বিনয় রায়। সে জানায় ওই ব্যবসায়ীর সাথে প্রতিবেশী তোষনালী এবং একরামুল হকের পূর্ব আক্রোশ ছিল এবং তাদের কথায় ব্যবসায়ীর দোকানে আগনাস্তসহ বস্তাটি রেখেছে সে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে ওঠে জনতা এবং ওই যুবককে উদ্ধার করতে আসলে রীতিমতো ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। পরবর্তীতে যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে গেলে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কথা স্বীকার করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।