বিজেপি করার অপরাধে বিজেপির বুথ সভাপতিকে দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক ভাবে মারধরের অভিযোগ উঠলো তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আক্রান্তওই বিজেপির বুথ সভাপতি। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ পুরোটাই অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
রবিবার রাতে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের বারকোদালি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানসাই বাজার এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছাড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। উত্তেজনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বক্সিরহাট থানার পুলিশ । আক্রান্ত বিজেপির ওই বুথ সভাপতি নাম অমৃত দাস। তিনি বারকোদালি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯/২৩৭ নং বুথের বুথ সভাপতি বলে জানা গিয়েছে ।

জানা যায়, অমৃত দাস রবিবার সন্ধ্যায় মানসাই বাজারে আসলে তাঁকে বাজার থেকে মানসাই বাজার তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলের লোকজন।সেখানেই তাকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। বর্তমানে ওই বিজেপি বুথ সভাপতি তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় আজ বিজেপির তরফে বক্সিরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আক্রান্ত বিজেপির বুথ সভাপতি অমৃত দাস জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির জন্য লড়াই করে আসছি। আমি একজন বিজেপির বুথ সভাপতিও বটে। তৃণমূলের বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি সোচ্চার হয়েছি। সেই আক্রোশের বসে গতকাল আমি মানসাই বাজারে আসলে আমাকে তৃণমূলের কর্মীরা তাদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়কভাবে মারধর করে। এবং হুমকি দেয়, ঘটনার কথা কাউকে প্রকাশ করলে আমার বাড়ি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হবে। বর্তমানে আমার বুকে পিঠের, মাথায় বেধরকভাবে মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।
যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল।
তৃণমূলের তুফানগঞ্জ-২ ব্লক যুব সভাপতি মহেশ বর্মন বলেন, নিজেদের পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নেই। বিধানসভা ভোটের আর বেশিদিন নেই, তাই দলকে কালিমা লিপ্ত করতেই এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। প্রশাসনকে বলবো বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্ত করতে।
পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশি টহলদারি চলছে।