চা বাগানে গেলে এই দৃশ্য দেখলে হতে পারে আপনার মন খারাপ।চায়ের গুণগত মান নিয়ে থেকে যেতে পারে প্রশ্ন। হটাৎ করেই ডুয়ার্সের চা পাতা কালো হয়ে যাচ্ছে।চা বিশেষজ্ঞদের মতে এটি একটি খারাপ সংকেত। চা পাতা এরকম কালো হতে থাকলে তা উৎপাদনে ক্ষতির বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে।
বিশেষ করে ইস্টার্ন ডুয়ার্স এলাকার চা বাগান গুলিতে গেলে দেখা যাচ্ছে চা গাছের পাতার রং সবুজের স্থানে কালো হয়ে উঠছে। চা বাগানের বেশির ভাগ সেকশনে দেখা যাচ্ছে এমন ছবি।চা বিশেষজ্ঞদের মতে গত দুবছরে চা বাগানে এই ছবি দেখা যাচ্ছিল। তবে তা ছিল কম পরিমাণে।

এবারে বেশির ভাগ চা গাছের পাতা কালো হয়ে উঠেছে। যারফলে উৎপাদন কমছে বাড়ছে কীটনাশকের খরচ।কেন এমন চা গাছের পাতার রং কালো হয়ে উঠছে? এই প্রসঙ্গে একদল বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন বৃষ্টি পরিমাণের চেয়ে কম হওয়ার কারণে এমনটা হচ্ছে। আরেক দল বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন কোন অপকারী ব্যাকটেরিয়া প্রথমে মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে তারপর তা গাছের স্বাস্থ্য নষ্ট করে দিচ্ছে। ডুয়ার্স মানে জঙ্গলের পাশাপাশি চা বলয়। এই এলাকার চা বাগানের অপরূপ সৌন্দর্য ও চা পাতা নিতে ছুটে আসেন দূর দূরান্তের পর্যটকেরা।বর্তমানে কৌলিন্য হারাচ্ছে চা বাগান গুলি। নানান কারণে কমছে উৎপাদন। এক কথায় মুখ থুবড়ে পড়ছে ডুয়ার্স এলাকার চা বাগানগুলি। এভাবে চলতে থাকলেও ডুয়ার্স এলাকার চা নিঃশেষ হয়ে যাবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চা পর্ষদের তরফে এই মুহূর্তে এই বিষয়গুলি নিয়ে সঠিকভাবে আলোচনা না করলে সমস্যা আরো বাড়তে থাকবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
এই বিষয়ে ভাত খাওয়া চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার টি এন পান্ডে জানান, “চা গাছের পাতা কালো হয়ে উঠছে অস্বাভাবিকভাবে।চা পাতা উৎপাদন কী হবে? তার চেয়ে বাড়ছে কীটনাশক ছড়ানোর খরচ।আগে যেখানে ২৫ হাজার টাকার কীটনাশক ছড়ানো হত, এখন সেখানে খরচ হচ্ছে ৬৫ হাজার টাকার মত।”
অন্যদিকে কালচিনি ব্লকের ডিমা চা বাগানের ম্যানেজার দিব্যেন্দু নন্দী জানান, “যে বৃষ্টি দরকার ছিল এই সময়ে সেই পরিমান বৃষ্টি হয়নি।যার কারণে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এরফলে যেটা হয়েছে প্রোডাকশন কস্ট বেড়ে গিয়েছে। গুণমান চা পাতা উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। আমরা এক অদ্ভুত চ্যালেঞ্জ দেখছি।”