আচমকা বেজে উঠলো সাইরেন, ছুটে এলো দমকল, এম্বুলেন্স।এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছেন রেলের আরপিএফ, জিআরপি আধিকারিক ও কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা।কাউকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, স্টেচারে, আবার কারও স্টেশনেই চলছে প্রাথমিক চিকিৎসা। বুধবার এমন দৃশ্য দেখে প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল হাসিমারা স্টেশনে আসা যাত্রীরা। যদিও কিছু সময়ের মধ্যে আসল বিষয়টি সামনে আসতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন সকলে।ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে কী কী করণীয় এবং সে সময় কেউ পদপিষ্ট হলে তাদেরই বা কীভাবে উদ্ধার করা হবে তারই মকড্রিল চলছিল এদিন।
যেখানে আরপিএফ আধিকারিক, বিপর্যয় মোকাবেলা দল, স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক সহ অন্যান্য বিভাগও অংশগ্রহণ করে।এদিন সকাল দশটা নাগাদ শুরু হয় এই মকড্রিল। নানান গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভিড় জমান যাত্রীরাও। আর সেই সময় আচমকা বেজে ওঠে হুটার। তৎক্ষণাৎ চলে আসে দমকলের এক ইঞ্জিন, আসে এম্বুলেন্সও। স্টেশনেই চিকিৎসা চলছিল একাধিক মানুষের। কাউকে আবার স্টেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যাত্রীদের কথায়, এর পূর্বে এরূপ দৃশ্য দেখেনি ।ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ভয় লেগেছিল। তারপর বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। আরপিএফ আধিকারিক রুনু মণ্ডল বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে এদিন এই মকড্রিল হয়।মূলত এরূপ পরিস্থিতিতে কী কী করণীয় তা নিয়ে সচেতন করার উদ্দেশ্যেই এদিন এই মকড্রিল।”
