DIGITAL BANGLA NEWS

আপনার এলাকার খবর

ট্রেক করে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে পৌঁছে নজির গড়লেন মালদার শিক্ষক

ট্রেক করে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে পৌঁছে নজির তৈরি করলেন মালদার শিক্ষক কাঞ্চনকুমার বসু। জেলায় হাতে গোনা কয়েকজনই এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে ট্রেকিং করে গেছেন। তাঁদের মধ্যে নতুন করে যোগ হল কাঞ্চনের নামও। তিনি এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ছুঁলেন কোনও রকম গাইড কিংবা পোর্টার ছাড়াই। একা একাই তাও আবার সালেরি থেকে এবিসি পর্যন্ত প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার পথ। যাওয়ার পর আবার ওই পথ ধরেই ফেরা। যদিও ইদানিং এভারেস্ট বেস ক্যাম্প যাওয়াটা খুব একটা দুস্কর নয়। নেপালের সালেরি থেকে ট্রেক করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে দিয়ে বিপদসঙ্কুল পথ পেরিয়ে যাওয়া, প্রতিমুহুর্তে সেখানে বিপদের হাতছানি। এমন কঠিন অভিযান সফল করে ফিরলেন পর্বতারোহী কাঞ্চনকুমার বসু।

ইংরেজবাজার শহরের নেতাজি পার্ক গৌড় বাঁধ রোডে বাড়ি তাঁর। তিনি নরহাট্টা জি এস হাই স্কুলের শিক্ষক। পাহাড়ে ট্রেক করা তাঁর বহুদিনের নেশা। ২০০৫ সাল থেকে শুরু। সান্দাকফু ৩ বার ট্রেক করে ফেলেছেন। তারপর একে একে সিকিমের মৈনাম টপ, নেপালের পুন হিল, অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প। এরপর হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট-‌র অধীনে পর্বতারোহনের ২৪ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ নেন দার্জিলিংয়ে। এরপর এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ট্রেক করার স্বপ্ন দেখা শুরু। সব বাধা অতিক্রম করে অবশেষে গত ২৭ সেপ্টেম্বর নেপালের সালেরি থেকে ট্রেক শুরু করেন। একাদশীর দিন গোরেকশিপ হয়ে সকাল ১১টা ১০ মিনিটে পৌঁছন হিমালয়ের ৫,৩৬০ মিটার উচ্চতায় এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে। যদিও এরপর থেকেই শুরু প্রাকৃতিক দুর্যোগের। ধীরে ধীরে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে থাকে। খুব কাছ থেকে দেখা পাহাড়ি প্রকৃতির রুদ্র মূর্তি। তীব্র ঠান্ডা, তুষারপাত, বৃষ্টি, ধস-‌খুব কাছ থেকে দেখা তাঁর। পাশাপাশি দুধকোশি নদীর ভয়ঙ্কর চেহারাও দেখা খুব কাছ থেকে।

শেয়ার করুন...

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live TV

play-sharp-fill

নতুন খবর আবার পড়ুন