ভারতের উজানে পাহাড়ী ঢল ও টানা ভারী বর্ষণে বাংলাদেশে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর জলের সাথে ভেসে আসছে লাল চন্দন কাঠ। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার নদ-নদীতে শত শত গাছের গুঁড়ির সাথে ভেসে আসছে লাল চন্দন কাঠ ও গাছের গুঁড়ি। চন্দন কাঠগুলো ‘রক্ত চন্দন’ বা ‘লাল চন্দন কাঠ’ হওয়ায় অনেক বেশি দামে বিক্রি করছে কুড়িগ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত রোববার ভোর থেকেই কালজানি নদী হয়ে দুধকুমার নদী ও চিলমারীর ব্রক্ষ্মপুত্র নদে আসাম থেকে এসব কাঠ ভেসে আসতে শুরু করে। উৎসুক জনতা ভোর থেকেই নৌকা ও বাঁশের ভেলায় নেমে পড়ে কাঠ সংগ্রহ করার প্রতিযোগিতায়। কেউ সাঁতরে, কেউ বাঁশের ভেলা বানিয়ে কাঠগুলো নদীর স্রোত থেকে ধরে তীরে তুলতে শুরু করে। নদীর তীরে তুলেই অনেকে লাল চন্দন কাঠ বিক্রি শুরু করে।

তবে গাছের গুঁড়ি ২০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও দাম আরও চড়া।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নে একটি লাল চন্দন গাছের গুঁড়ি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে।
নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জের দামাল গ্রামের আব্দুল মোতালেব জানিয়েছেন, চারজন মিলে ৫০ ফুটের মতো একটা লাল চন্দন গাছ তুলেছি। তিনি ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, অনেকেই ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় লাল চন্দন কাঠ বিক্রি করছেন।