DIGITAL BANGLA NEWS

আপনার এলাকার খবর

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা সহ-সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা

টানা প্রায় ৬ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা, শহরতলী এবং সল্টলেক। অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে হাওড়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণাতেও। সোমবার রাত এগারোটা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। ভোর পাঁচটার পর থেমেছে বর্ষণ। সাময়িক রেহাই হলেও দিনভর চলবে বৃষ্টি।  ইতিমধ্যেই জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় চারজনের। নেতাজিনগর মোড়ে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ষাটোর্ধ ফল বিক্রেতার মর্মান্তিক মৃত্যু। ইতিমধ্যেই বেনিয়াপুকুর, বালিগঞ্জ প্লেস, কালিকাপুর আর নেতাজি নগর। CESC কে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বলা হয়েছে।


কলকাতার বহু অঞ্চলে জল জমে গিয়েছে। দক্ষিণের কসবা হালতু থেকে গড়িয়া, বেহালা। উত্তরের কাশিপুর, হাতিবাগান, মানিকতলা সব জায়গা জলের তলায়।কোথাও হাটু জল কোথাও আবার বুক সমান। কলকাতায় উত্তরের থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টির হয়েছে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর পাওয়া গিয়েছে নিউ টাউন এবং সল্টলেকে জল জমে আছে। এক কথায় জনজীবন বিপন্ন। বহু নিচু এলাকায় বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। গঙ্গায় জোয়ার থাকার জন্য কলকাতার সমস্ত লকগেট বন্ধ ছিল। ভাটা শুরু হওয়ার পরই গঙ্গার লকগেট খোলা হয়। তারপর জল কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্ব পূর্বাভাস অনুযায়ী মঙ্গলবার ও বুধবার বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। বিশেষত রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা গুলিতে। তাই দুর্যোগ কেটেছে তা বলা যাচ্ছে না।  
বৃষ্টির পূর্বাভাস যদিও আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। বলা হয় যে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন মায়ানমার উপকূলে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছিলো। এই ঘূর্ণাবর্তটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে সোমবার উত্তর পূর্ব-বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হবে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এটি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 
এদিকে শারদীয়া উৎসবের বাকি মাত্র পাঁচ দিন। প্যান্ডেলের বাঁশ পোতা হয়ে গিয়েছে। প্রবল বর্ষণে ব্যবসায়িক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়েছে। 

শেয়ার করুন...

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live TV

play-sharp-fill

নতুন খবর আবার পড়ুন