তৃণমুলের দাদাগিরি বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর তান্ডব চালানোর ভিডিও ছবি ভাইরাল ।
তৃণমুলের দুস্কৃতিদের দাদাগিরি। বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করার ছবি ভাইরাল। জুয়া খেলতে না দেওয়ার প্রতিবাদ করায় দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত বেসরকারি সংস্থার এক কর্মী।লাঠি হাঁসুয়া নিয়ে কর্মীর বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব।বাড়ির দরজা দুটি মোটর বাইক ভাঙচুর কর হয়। দুষ্কৃতীদের তান্ডবের ভিডিও ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।অভিযোগ দুষ্কৃতীদের তান্ডব থেকে রেহাই পায়নি বাড়ির মহিলা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বৃদ্ধারাও।ঘটনাটি ঘটেছে মালদা থানার সাহাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের চার নম্বর বিমল দাস কলোনি এলাকায়।

জানা গিয়েছে,মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নম্বর বিমল দাস কলোনিতে থাকেন প্রসেনজিৎ দে দাস ও তার পরিবার l প্রসেনজিৎ পেশায় বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে, কিছুদিন আগে এলাকার এক মন্দিরে কাজ চলছিল সেই সময় বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এসে মন্দির চত্বরে জুয়া খেলবে তখনই প্রসেনজিৎ দুষ্কৃতীদের জোয়ার আসর বসাতে দেয় না আপত্তি করে। তারপর থেকেই আক্রোশ বেড়ে যায় দুষ্কৃতীদের।এদিকে এদিন রাতে দলবল নিয়ে এসে দুষ্কৃতীরা প্রসেনজিৎ এর বাড়িতে হামলা চালাই।মোটরবাইক ভাঙচুর করে, তার স্ত্রীকেও গায়ে হাত দেয় শীলতাহানি করার অভিযোগ উঠে। এই ঘটনার পর রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে ওই পরিবার।
সাহাপুর এলাকায় বিমল দাস কলোনী এলাকায় একটি মন্দির রয়েছে। সেখানে জুয়া খেলা বসানো নিয়ে প্রতিবাদ করে স্থানীয় কিছু যুবক। আর তাতেই বিবাদ চড়ম আকার নেই। এরপরই তৃণমল আশ্রিত কিছু দুস্কৃতি গুন্ডা বাহিনী বাড়িতে ঢুকে বেসরকারি সংস্থার কর্মীর স্ত্রীকেও মারধর করা শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।শুধু তাই নয় স্ত্রীকে গলা টিপে প্রাণে মারার চেষ্টার পাশাপাশি গলা থেকে সোনার চেন ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রেহাই পাইনি বাড়ির বৃদ্ধ মা। তাকেও মারধর করা হয় এবং গলার সোনার মালা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে সমস্ত ঘটনার লিখিত আকারে মালদা থানায় অভিযোগ করে বেসরকারি কর্মী সংস্থার পরিবার।আতঙ্কিত বেসরকারি কর্মীর পরিবার।আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছেন ওই পরিবার।অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীও জানিয়েছেন আক্রান্ত পরিবার। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানুতোর।
বিজেপির মন্ডল সভাপতি শঙ্কর মন্ডলের অভিযোগ দুষ্কৃতীরা শাসকদের তৃণমূল কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় রয়েছে।বাইরের থেকে অনেক বহিরাগতরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।স্বাভাবিক ভাবেই এই ধরনের দাদাগিরি করছে তৃণমুল আশ্রিত দুস্কৃতিরা।
জেলা তৃণমুলের সহ সভাপতি শুভময় বসু বলেন, তৃণমূল সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে ফলে বিজেপিরাই ওই বেসরকারি সংস্থা কর্মীর বাড়িতে হামলা করেছে। যদিও ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে মালদা থানার পুলিশ।