জীবিত চা শ্রমিকের মৃত্যুর শংসাপত্র জমা করে প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি ডুয়ার্সের এক চা বাগানে। প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের কোটি কোটি টাকা জমাও পরেনি চা শ্রমিকদের এই অভিযোগ তো রয়েছে। এরই মধ্যে বুধবার শ্রমিকরা একজোট হয়ে পিএফ অফিসে দ্বারস্থ হলেন পিএফ এর টাকা তছরুপের অভিযোগ নিয়ে।
ডুয়ার্সের ধরনী পুর চা বাগান সহ বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রসংশাপত্র (ডেথ সার্টিফিকেট) দেখানো হয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলার সময়। কোন অ্যাকাউন্টে টাকা তোলা হয়েছে এখনও পরিস্কার নয়৷ এ দিন শ্রমিকরা পিএফ অফিসে এসে ঘটনা তুলে ধরলেন৷ লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে।

এই ঘটনার সঙ্গে বড়সড় চক্র যুক্ত রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদে নাগরাকাটার সম্পাদক বিকাশ বড়াইক বলেন,”কে কিভাবে ডেথ সার্টিফিকেট বানিয়েছে আমরা জানি না। সেই ডেথ সার্টিফিকেট দেখিয়ে অনেকের প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের টাকা তোলা হয়েছে। কিভাবে হল জানতে পিএফ অফিসে এসেছি।” ধরনীপুর চা বাগানের শ্রমিক শীলা মুর্মু বলেন, “আমি জীবিত তারপরেও আমার ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলা হয়েছে। প্রায় শতাধিকের শ্রমিকের টাকা তোলা হয়েছে। জানার জন্য আজকে এসেছি।” জলপাইগুড়ি রিজিওনাল পিএফ অফিসের কমিশনার পবন কুমার বনসাল বলেন, “অনেক কিছু ভেরিফাই হয়ে অন লাইনে টাকা পেমেন্ট হয়৷ এটা হওয়ার নয়, সঠিক তথ্য পেলে নিশ্চয় দেখা হবে।”