নিজস্ব প্রতিনিধি,সুন্দরবন (দঃ ২৪ পরগনা ):পানীয় জলের কষ্টে ভুগছে সীমান্তবর্তী সুন্দরবনের মানুষেরা,পুকুরের জল খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে কয়েক হাজার বাসিন্দাদের। আজও পর্যন্ত প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকায় পৌঁছায়নি পাইপ লাইনের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ পানীয় জল। এমনকি গ্রামে নেই কোন ওয়াটার এটিএম বা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান।আজও পর্যন্ত গ্রামে পানীয় জলের জন্য বসানো হয়নি কোন নলকূপ। তার ফলে প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের পুকুরের জল খোলা আকাশের নিচে অপরিচ্ছন্ন জায়গাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শোধন করেই খেতে হচ্ছে।

গ্রীষ্মের এই দাবদহে বহুদূরান্ত থেকে সাইকেলে করে কাছারি পুকুরের জল সংগ্রহ করছেন হিঙ্গলগঞ্জের সাহেব খালি এলাকার মানুষেরা।এমনটাই ভাবে পানীয় জলের কষ্টে ভুগতে হচ্ছে হিঙ্গলগঞ্জের সাহেবখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাড়ালখালি এলাকার বাসিন্দাদের। চাড়ালখালি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ পানীয় জল তো দূরে থাক আজও পর্যন্ত বসানো হয়নি পানীয় জলের জন্য কোন নলকুপ। একেবারেই সীমান্তবর্তী একটি পুকুরের পানীয় জল সংগ্রহ করে কোনরকমে তৃষ্ণা মিটাচ্ছেন কয়েক হাজার বাসিন্দারা। পুকুরের জল খোলা আকাশের নিচে অস্বাস্থ্যকর অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় কোন রকমে শোধন করা হচ্ছে। আর বাধ্য হয়ে পুকুরের কাঁদা গন্ধযুক্ত সেই জল বহুদূরান্ত থেকে সংগ্রহ করতে আসছে এলাকার মানুষেরা। কিলোমিটারের পরে কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে ড্রামে করে পানীয় জল তাদের সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। গত কয়েক বছর আগে সুন্দরবনে গিয়ে মন্দির উদ্বোধনের পাশাপাশি সুন্দরবনকে ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি যে শুধু প্রতিশ্রুতি হয়েই রয়েছে তার এক চাক্ষুষ প্রমাণ উঠে আসলো এই চাড়াল খালি এলাকা থেকে।

গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আশুতোষ কামেলিয়া বলেন, পানীয় জলের সমস্যা দূর করতে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বসানো হয়েছে।এলাকায় গাড়ি দিয়ে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাইপ লাইন বসানো হয়েছে খুব দ্রুতই পানীয় জল পরিষেবা চালু হবে বলে জানান তিনি। ( আশুতোষ কামেলিয়া, প্রধান, সাহেব খালি গ্রাম পঞ্চায়েত)
পিএইচজি ইঞ্জিনিয়ার আনিস রঞ্জন ঘোষ বলেন,পাইপ লাইন বসানো হয়েছে, ট্রায়াল রান শেষ হয়নি। খুব দ্রুতই পানীয় জলের সমস্যা দ্রুতই মিটে যাবে বলে জানান তিনি।