জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ফাঁরি ও কোতয়ালী থানার পুলিশ কর্মীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ মৃতদেহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিতে ময়নাতদন্ত ও গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে পুলিশ ও মেডিক্যাল কলেজ কর্তিপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দায়ের পরিবারের ৷ মৃত রোগীর নাম নান্টু দে সরকার (৫০)।
জলপাইগুড়ি পবিত্র নগর কলনীর বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর নান্টু দে সরকার বুধবার সন্ধ্যায় (২৩/০৭/২৫) পায়ে ব্যাথা নিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসেন ৷ কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নান্টু বাবুকে ৫তলায় সার্জিক্যাল ওয়াডে ভর্তি করে দেয়।

সেখানেই তাকে একটি ইনজেকশন দেয় নার্সিং কর্মীরা। এর পর থেকে নান্টু দে সরকারের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এবং কিছু সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের চিকিৎসক বলেন এই রোগীকে ৪তলায় মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করার দরকার ছিল কেনো সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি করা হল।এই প্রশ্নের উত্তরে রোগীর পরিবারের সদস্যরা বলেন ইমারজেন্সির চিকিৎসক যেখানে ভর্তি লিখেছে সেখানেই ভর্তি করা হয়েছে৷ এর পরেই পরিবারের সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে উঠে৷ সেই সময় ফাঁরির পুলিশ ও কোতয়ালী থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷গভীর রাত পর্যন্ত এই উত্তেজনা চলার পর পরিবার চিকিৎসার গাফিলতি ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতে ময়না তদন্তের দাবি জানিয়ে দুটি লিখিত অভিযোগ করে। একটি অভিযোগ করা হয় পুলিশকে অন্যটি করা হয় মেডিক্যাল কলেজ কর্তিপক্ষকে ৷ পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বাসিন্দারা ৷ কনো সিনিয়র চিকিৎসককে ঠিক সময় মেডিক্যাল কলেজে পাওয়া যায়না। মেডিক্যাল কলেজ চোলছে শুধুমাত্র জুনিয়র চিকিৎসকদের দারা ৷