শুক্রবার জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজার এলাকায় ফের আচমকা পরিদর্শনে এলেন সদর মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী। তবে এবারের ভিজিট ছিল একটু আলাদা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নয়, এবার তার নজর ছিল পরিবেশ দূষণ ও জনসুরক্ষার দিকে—বিশেষত করলা নদীতে ব্যবসায়ীদের দ্বারা ফেলা থার্মোকল ও প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে।পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, একাংশ ব্যবসায়ী তাদের দোকানের থার্মোকল ও প্লাস্টিক সামগ্রী সরাসরি নদীতে ফেলে দিচ্ছেন। যার ফলে নদী দূষণের পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে করলা সেতুর নিচে জমতে থাকা আবর্জনার স্তূপ থেকে এর আগেও একাধিকবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দেন এসডিও।

তিনি জানান, বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতেই হবে—নদীতে নয়। এছাড়া প্লাস্টিক ও থার্মোকলের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারের দিকেও গুরুত্ব দিতে বলেন তিনি। বাজার এলাকার পরিবেশ ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে আরও নজরদারি চালানো হবে বলেও ইঙ্গিত দেন। এদিনের এই অভিযানে পুরসভার আধিকারিক ও কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।পাশাপাশি, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ওয়ার্ড প্রতিনিধি নিপু সাহা বলেন, “নদীতে বর্জ্য ফেলা রোধ করতে ব্যবসায়ীদের আরও সচেতন হতে হবে। আমরা চাই, পরিবেশ ও বাজার—উভয়ই রক্ষা পাক।” তিনি আরও জানান, দিনবাজারের হোলসেল ফিস মার্কেটটি স্থানান্তর করা হলে বহু সমস্যারই সমাধান সম্ভব হবে।