ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ। এবার জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে এমনই ঘটনার অভিযোগ উঠল। অষ্টম শ্রেণিতে পড়া এক ছাত্রীর অভিযোগ, ক্লাস রুমেই তার সহপাঠী ছাত্র তাকে শ্লীলতাহানি করে। অভিযোগ উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার কথা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও, তাঁরা কোনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টে ঘটনাটি চেপে দেওয়ার চেষ্টা করে। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারিণী ছাত্রী ও তার পরিবারকে মানসিকভাবে চাপে ফেলা হয়। গোটা ঘটনার যাতে প্রকাশ না ঘটে, তার জন্য নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ ওই পরিবারের।

যদিও ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এই খবর লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অসহায় পরিবার এরপর চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি এবং জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। অভিযোগ জানানো হয় জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরে এবং জলপাইগুড়ি মহিলা থানাতেও। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছে, তারা শুধু নিজেদের মেয়ের জন্য নয়, অন্যান্য ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য—”স্কুলের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনও মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে, তার জন্য প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ চাই। একই সঙ্গে আমাদের মেয়ের যাতে সুবিচার হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।” এখন ওই পরিবার চেয়ে আছে, প্রশাসন ও শিশু সুরক্ষা দপ্তর যৌথভাবে কতটা দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।
চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন মান্না মুখোপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করা হয়েছে, তদন্ত রিপোর্ট এলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ৷
জেলা জুভেলাইন জাস্টিস বোর্ডের সহকারি সরকারি আইনজীবী শান্তা চট্টোপাধ্যায় বলেন, দুজনই মাইনর,অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তদন্তে যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত জানান, “ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি কেস রেজিস্টার করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।” এদিকে, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির পক্ষ থেকেও গোটা ঘটনাটির পৃথক তদন্ত শুরু হয়েছে।