ফের চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ। চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় এফ আই আর দায়ের করা হলো পাঁশকুড়া থানায়, অভিযোগ জানানো হয় জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর কাছেও।
মৃতার নাম প্রিয়াঙ্কা বাগ পড়িয়া।গত ৩০ তারিখ প্রিয়াঙ্কার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে পরিবারের লোকজন তাকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই হাসপাতালেই তার নিয়মিত চেকআপ চলতো। শেষ চেকআপ এর সময় ও তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক ছিল। সোমবার বিকালে সিজার করার পর তিনি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।

রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার রক্ত ক্ষরণ হতে শুরু করে। রাত বারোটার পর অর্থাৎ গত মঙ্গলবার তাকে রেফার করা হয় তমলুক হাসপাতালে। হাসপাতালে আনা হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ যে ডাক্তার সিজার করেছেন তার গাফিলতিতেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এ প্রসূতির মৃত্যু ঘটেছে। তার পরিবারের বড় অভিযোগ তাড়াহুড়ো করে অন্য রোগীর ইউএসজি রিপোর্ট দেখে প্রসূতির সিজার করা হয়েছিল। এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুলবশত অন্য রোগীর ইউ এসজি রিপোর্টটি তাদের রোগীর ডকুমেন্টের সাথেই রেখে দেয়। সাথে সাথেই একজন সদ্যজাত শিশুকে যেভাবে নজরদারিতে না রেখে তার মায়ের সাথে বের করে দেয়া হয় সেই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তারা। আরেক প্রস্থ নাটক শুরু হয় প্রিয়াঙ্কার মৃত্যুর রিপোর্ট নিয়ে। সোমবার র মৃত্যু ঘটলেও তমলুক হাসপাতালে রিপোর্ট দেয়া হয় তার সিজারের সময়কালের। মৃতার পরিবার বলেন সম্পূর্ণ চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু ঘটেছে তাদের রোগীর। এমনকি ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আগেও এরকম ঘটনার উল্লেখ তুলে ধরেন তারা। শেষমেষ গতকাল মৃতার পোস্টমর্টেম করা হয় তমলুক হাসপাতালে। অভিযুক্ত ডাক্তারের শাস্তির চেয়ে তারা পাঁশকুড়া থানার দ্বারস্থ হন।জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ বিভাস রায় বলেন তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। ঠিক কি কারনে মৃত্যু হল সেটা তদন্ত করে দেখা হবে।