চম্পাসারিতে এটিএম লুটের ঘটনার রহস্যভেদ করল প্রধান নগর থানার অ্যান্টি-ক্রাইম শাখা। ঘটনায় জড়িত আন্তঃরাজ্য ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩ লক্ষ ১৯৬ টাকা। ধৃতদের মঙ্গলবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম মোহাম্মদ ইসরাইল, জাভেদ খান ও মোহাম্মদ খুশিদ। তিনজনই হরিয়ানার নুহূ জেলার বাসিন্দা এবং কুখ্যাত ‘মেওয়াত গ্যাং’-এর সদস্য। এই গ্যাং বিভিন্ন রাজ্যে এটিএম ও দোকান লুটের সঙ্গে যুক্ত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।

প্রধান নগর থানার অ্যান্টি-ক্রাইম ইউনিটের নেতৃত্বে চলা এই অভিযান হরিয়ানায় পৌঁছায়। সেখান থেকেই একজন ধৃতকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়িতে আনা হয়ে। এবং বাকি দুজনকে গতকাল সেবক লাগোয়া জঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে, ওই গ্যাংয়ের আরও কতজন এই ঘটনায় জড়িত এবং চক্রের শাখা প্রশাখা ঠিক কোথায় কোথায় বিস্তৃত। সম্প্রতি শিলিগুড়ির ব্যস্ততম এলাকায় একটি সোনার দোকানে দিবালোকে সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, চম্পাসারির এটিএম লুটের ঘটনার সঙ্গে ওই সোনার দোকানে লুটের কোনো সংযোগ রয়েছে কিনা। প্রধান নগর থানার এক আধিকারিক জানান, “এই আন্তঃরাজ্য গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে আমরা আগে থেকেই নজর রেখেছিলাম। এই ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশ আরও তৎপরভাবে কাজ করবে।”এদিন এবিষয়ে প্রধান নগর থানার আইসি বিডি সরকার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান এই ঘটনায় আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছে। ব্যাংকের তরফে আশানুরূপ কোনরকম সহযোগিতা মেলেনি। জোরপূর্বক এফ আই আর করাতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। ব্যাংকের অসহযোগিতার ফলে অনেকটাই সমস্যায় পড়তে হয়েছে তদন্ত ক্ষেত্রে, এমনটাই অভিযোগ করেন আইসি।
এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাফিক dcp বিশ্বচাঁদ ঠাকুর জানান, এটিএম লুট কাণ্ডে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং এই ঘটনায় আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তার তদন্ত চলছে।