বুধবার ময়নাগুড়ি ব্লকের পদমদি ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রহ্মপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় নিখোঁজ মৃত গৌতম রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করল ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। গৌতম রায়ের বন্ধু পরিমল রায়ের বাড়ির উঠানের মাটি খুঁড়ে মৃত দেহটি উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। এদিন রাতে মৃত গৌতম রায়ের পিতা দীপেন রায় ও তার পরিবারের সদস্যরা ময়নাগুড়ি থানায় আসে। এবং মৃত ব্যক্তির পিতা দীপেন রায় বলেন গতকাল রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ পরিমল রায় আমার ছেলেকে ফোন করে তার বাড়িতে যেতে বলে।

পরে গতকাল রাতে প্রচন্ড বৃষ্টির দরুন বাড়ির লোক চিন্তায় পড়ে যান অধিক রাত পর্যন্ত গৌতম বাড়িতে না ফেরায়। গৌতমের সঙ্গে ছিল তার মোটরবাইকটি। এই ঘটনায় পরিবারের লোকেরা রাত থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে এ কোথাও মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে গিয়েছে কিনা বা কোন রকম দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা, কিন্তু খুঁজেই পাইনি তার পরিবারের সদস্যরা। বুধবার সকালে ব্রহ্মপুর এলাকায় কিছু মানুষ বাস ঝোপে একটি পরিত্যক্ত একটি মোটরসাইকেল দেখতে পায় পরে এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে পরিমল রায়ের বাড়ি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পরিমলের বাবা দীপেন রায় বলেন আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। এবং খুন করে পরিমলের বাড়িতে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। আমরা আজ থানায় অভিযোগ জানাতে এসেছি। এই কথা বলতে বলতেই মৃত গৌতম রায়ের বাবা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন আমার ছেলে কোন খারাপ ছিল না। সকলকে সহযোগিতা করত। কি কারনে এই ঘটনা ঘটলো আমাদের অজানা। আমরা চাই পুলিশ তদন্ত করে দোষী ব্যাক্তির উপযুক্ত শাস্তি চাই।
মৃত গৌতম রায় এর এক আত্মীয় বলেন আমার দাদার মৃতদেহের পকেট থেকে একটি আধার কার্ড পাওয়া যায় সেই সঙ্গে আরও কিছু জিনিস পাওয়া যায়। এসব দেখি আমরা গৌতমের মৃতদেহ শনাক্ত করি। মৃতদেহের মাথা সহজ শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতে চিহ্ন ছিল বলে তারা জানান।