ফের রাতের অন্ধকারে অভাবী গৃহস্থের বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি। চুরি করতে এসে বারান্দায় বসে মদ্যপান চোরেদের। ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। জানা যায় নদীয়ার শান্তিপুর থানার বের পাড়া এলাকায় গতকাল রাতে এক গৃহস্ত বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। বাড়ির গৃহকর্তী নুরজাহান বিবির অভিযোগ তার স্বামী রহিদুল ইসলাম বিগত দেড় বছর ধরে শরীর খারাপের কারণে গোপালপুরে তাদেরই একটি বাড়িতে শয্যাশায়ী। নুরজাহান বিবি বের পাড়ার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। পরবর্তীতে এলাকারই এক দম্পতি যাদের ঘর ভাড়া প্রয়োজন তাদেরকে নিজের বাড়ির পাশের একটি ঘর ভাড়া দেন।

ওই দম্পতি প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে আসেন এবং সকালবেলায় উঠে আবার নিজেদের বাড়ি চলে যান। গত পাঁচ দিন হল নুরজাহান বিবি তার মামার বাড়ি কলকাতায় গিয়েছিলেন। গতকাল রাতে ভাড়াটিয়া সাহেব শেখ প্রতিদিনের মতো রাতে ঘুমোতে আসলে দেখতে পায় বাড়ির মূল ফটকের বল ভাঙ্গা এবং মাটিতে পড়ে রয়েছে লাগানো তালা। বারান্দায় পড়ে রয়েছে মদের বোতল এবং নুরজাহান বিবির ঘরের দরজা খোলা। এরপরই তিনি প্রতিবেশীদের কে ডাকাডাকি করে ঘরে ঢুকে দেখতে পান ঘরের সর্বস্ব লুট করা হয়েছে। এরপর তিনি খবর দেন নুরজাহান বিবিকে। আজ সকালে কলকাতা থেকে ফিরে নুরজাহান বিবি দেখতে পান বাড়িতে থাকা সোনার গহনা এবং একটি মিক্সার গ্রাইন্ডার চুরি গেছে তবে আরো কি কি চুরি গেছে এখনো তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। নুরজাহান বিবির দাবি চারানা ওজনের হাতের চুরি এবং চার আনা ওজনের কানের দুল চুরি গেছে আলমারি থেকে। ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত তিনি ও। অভাবী পরিবার হওয়ায় রীতিমতো সম্বল টুকু খুইয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে নুরজাহান বিবি । যদিও গতকাল রাতেই এলাকার মানুষ শান্তিপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ইতিমধ্যে চোরেদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। তবে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে শান্তিপুরে চুরির ঘটনা একের পর এক সামনে আসছেই যাতে করেই প্রশাসনিক তৎপরতার অভাব বলে মনে করা হচ্ছে।