তুফানগঞ্জ নাককাটি গাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজার কুটি বটতলা এলাকায় বিয়ের প্রায় দু বছরের মাথায় সাত মাসের পুত্র সন্তানকে রেখে এক গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ মৃতার পরিবারের লোকজনের। পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম মিলিমা খাতুন। জানা যায় প্রায় বছর দুয়েক হল সামাজিক মতে তুফানগঞ্জ দুই ব্লকের ভানুকুমারী এলাকার মিলিমা খাতুন এর সাথে নাককাটি গাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজার কুটি বটতলা এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিক এর সামাজিক মতে বিয়ে হয়েছিল।

বর্তমানে তাদের সাত মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পরিবারের তরফ থেকে জানা যায় গত তিন দিন আগে বাবার বাড়ি ভানুকুমারী থেকে রাজারকুটি এলাকায় স্বামীর বাড়িতে আসেন। রবিবার বাড়ির লোকজন ফোন মারফত জানতে পারে তার মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়েছে এবং হাসপাতালে আনা হয়েছে। মেয়ের বাড়ির লোকজন দ্রুত হাসপাতালে ছুটে আসলে মৃতদেহটিকে দেখতে পায় কিন্তু মৃতার জামাইসহ অন্যান্যদের কাউকে দেখতে পায় না। তারা হাসপাতালে মিলিমা কে রেখে পালিয়ে যায় বলেও জানা যায়। ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের লোকজন। পরিবারে তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি তুলছেন তারা এবং মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কঠোর শাস্তির দাবি তুলছেন। সোমবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহটিকে শনাক্তকরণের পর কোচবিহার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। থানা সূত্র খবর অভিযোগ জমা পড়েছে ।অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।